ফিলিপসের শেষ বিকেলের ঝলকে লঙ্কা জয়

জয়ের আশা তখন ছিল স্রেফ মরীচিকা, কিন্তু লকি ফারগুসনের হ্যাটট্রিক এক ঝটকায় বদলে দিলো ম্যাচের গতিপথ। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে তিনি ফেরান কুশল পেরেরাকে; অষ্টম ওভারের প্রথম দুই বলে কামিন্দু মেন্ডিস এবং চারিথ আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে রেকর্ড গড়েন এই পেসার। সেই সাথে ম্যাচে ফেরে রোমাঞ্চ।

গ্লেন ফিলিপসকে যদি পাখির মত উড়ে বেড়াতে বলি – তিনি কি পারবেন? পারবেন হয়তো। তিনি পারেন না এমন কিছু তো নেই; ব্যাটিং পারেন, উইকেটকিপিং পারেন, অতিমানবীয় ফিল্ডিং করতে জানেন। আবার প্রয়োজন হলে বল হাতে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিতে পারেন। এই তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে তাঁর হাত ধরেই জয়ের কাব্য লিখলো নিউজিল্যান্ড।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল আট রানের, ক্রিজে ছিলেন সেট ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা, মাহিশ থিকসানাও ব্যাটিং জানেন মোটামুটি। অথচ ফিলিপসের সামনে সবাই নিরুত্তর; প্রথম আর চতুর্থ বলে এক রান করে দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয় আর পঞ্চম বলে উইকেট তুলে নিয়ে অবিশ্বাস্য একটা জয় এনে দেন।

এই অফ স্পিনারের অলৌকিক বোলিংয়ের সুবাদে পাঁচ রানের জয় পায় কিউইরা, সিরিজে ফেরে সমতা। অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল ভিন্ন, নুয়ান থিসারার ঝড়ে স্রেফ ছয় রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বসে দলটি; এরপর আবার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জোড়া আঘাত।

সবমিলিয়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ছিল সফরকারীদের, তবে ইনফর্ম উইল ইয়ং একপ্রান্ত আগলে করেন ৩০ রান। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার এবং জস ক্লার্কসনের জুটিতে আসে আরো ৩২ রান, তাতেই কোনরকমে তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

জয়ের আশা তখন ছিল স্রেফ মরীচিকা, কিন্তু লকি ফারগুসনের হ্যাটট্রিক এক ঝটকায় বদলে দিলো ম্যাচের গতিপথ। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে তিনি ফেরান কুশল পেরেরাকে; অষ্টম ওভারের প্রথম দুই বলে কামিন্দু মেন্ডিস এবং চারিথ আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে রেকর্ড গড়েন এই পেসার। সেই সাথে ম্যাচে ফেরে রোমাঞ্চ।

যদিও স্বাগতিকদের ভরসা হয়ে ক্রিজে ছিলেন নিশাঙ্কা, কিন্তু ব্রেসওয়েলদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সাথে ফিলিপ্সের জাদুকরী পারফরম্যান্সে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁদের। এর ফলে ট্রফি ভাগাভাগি করেই সিরিজ শেষ করতে হলো দুই দলকে।

Share via
Copy link