শেষ মুহূর্তের ‘শামি-সারপ্রাইজ’

রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। মানে শামি ম্যাচ খেলার জন্য ফিট, তাহলে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির জন্য বিবেচিত হলেন না কেন। নাকি, অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার দরজা এখনও খোলাই আছে?

ইনজুরিতে এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন মোহাম্মদ শামি। তবে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। মানে শামি ম্যাচ খেলার জন্য ফিট, তাহলে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির জন্য বিবেচিত হলেন না কেন। নাকি, অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার দরজা এখনও খোলাই আছে?

শামির ম্যাচ ফিটনেস নিশ্চিত হওয়া গেলে শেষ মুহূর্তে ডাক পেতে পারেন ভারতীয় দলে। সেক্ষেত্রে সিরিজের শেষের কয়েকটা টেস্ট তাঁকে মাঠে দেখা যেতে পারে।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলছে, ‘৩৪ বছর বয়সী এই পেসারকে খুব সূক্ষ্ম ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন ফিজিও নিতিন প্যাটেল। শামির সাথে তিনিও এই মুহূর্তে ইন্দোরে আছেন, ম্যাচের পুরোটা সময়ই থাকবেন।

বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের আগেও শামির ফিটনেস আপডেট বেশ কাছ থেকেই যাচাই-বাছাই করেছে ভারত। রোহিত শর্মা বলেছেন, ‘আমরা শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে শামিকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যেতে পারি না।’ টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা ও ভাবনা এখানে শতভাগ স্পষ্ট।

রঞ্জিতে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়েছেন শামি। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শুরু আসছে ২২ নভেম্বর। শামি না থাকায় বেশ অনভিজ্ঞ পেস আক্রমণই তৈরি করতে হয়েছে ভারতকে। পরীক্ষিত সৈনিক জাসপ্রিত বুমরাহ আর মোহাম্মাদ সিরাজকে সঙ্গ দেবেন আকাশ দীপ, হার্ষিত রানা, প্রসিদ্ধ কৃষ্না ও নিতিশ কুমার রেড্ডি। রিজার্ভ দলে আছেন মুকেশ কুমার, নবদীপ সাইনি, খালিল আহমেদ।

বাংলারে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে বোর্ড থেকে শামির উপরে কোন গাইডলাইন বা রেস্ট্রিকশন বেধে দেওয়া হয় নি। নেটে শামির আবারও আগুন ঝলসানো বোলিং দেখে মুগ্ধ হয়েছে দল। কোচ লক্ষ্মী রতন শুকলা বলেন, ‘গত সপ্তাহে কর্ণাটক ম্যাচের পর ব্যাঙ্গালুরুতে শামি তার সতীর্থদের সাথে দেখা করেন। দ্রুত ফিরে আসার আশ্বাস দিয়ে বলেন, তিনি এখন সুস্থ আছেন।’

গোড়ালির ইনজুরির জন্য বাংলা দলে নাম ছিল না শামির। শেষ মুহূর্তে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) ক্লিয়ারেন্স দিলে দলে যোগ দেন। এবার হারানো ছন্দ ফিরে পাবার সংগ্রাম শামির সামনে। পুরো ফিটনেস না থাকা সত্বেও গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে শামি হয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ৭ উইকেট একাই নিয়ে পেয়েছিলেন ‘শামিফাইনাল’ তকমা।

শামি এখন ব্যাথামুক্ত, জানিয়েছেন তিনি গত মাসেই। এবার ম্যাচ ফিটনেস পেলে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার পথ খোলাই তাঁর জন্য। আর সেটা হলে বিপদ বাড়বে অজিদের।

রিকি পন্টিং যেমন বলছিলেন, ‘শামিকে মোকাবেলা করাটা কতটা কঠিন, সেটা যারা তাঁর বিপক্ষে খেলেছে তাঁর জানে। তার উপরে প্রথম দুই টেস্ট হবে পার্থ আর অ্যাডিলেডে। সেখানের কন্ডিশনে শামি খুবই কার্যকর। তাই আমি মনে করি শামি ফিরলে তা ভারতের পালকে নতুন মাত্রা যোগ করবে।’ ভারতও তাই চাইলে শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত শামির অপেক্ষা করতেই পারে। প্রথম ম্যাচ না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ তো বটেই।

Share via
Copy link