বাবর আজম ইজ ব্যাক। নাহ, পুরোপুরি দাঁড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আসলে একটা প্রশ্ন হবে। প্রশ্নটা হবে – ইজ বাবর আজম ব্যাক? প্রশ্নটা এই জন্যই নামটা বাবর আজম। একটা ইনিংস দিয়েই আসলে মন ভরবে না, সামান্য এক ৪১ রানের ইনিংস দিয়ে কিছু প্রমাণও হয় না।
আর পাকিস্তানের জন্য ব্যাটিংয়ে যে দুর্দিন ছিল, তাতে এই ইনিংসটা উদযাপনেরও কিছু নেই। তবে, সত্যি কথা হলো বাবর আজম অন্তত চেষ্টাটা করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটগুলোই এমন যেখানে টিকে থাকার চেষ্টা করা মূর্খের কাজ, এখানে রান বের করতে হবে – যে করেই হোক।
কারণ যে কোনো বলেই এখানে পতন অপেক্ষা করতে পারে। বাবর আজম তাই প্রতিটা বলই খেলেছেন তাঁর চাহিদা বুঝে। ২৮ টা বল তিনি ক্রিজে ছিলেন। রান করেছেন ১৪৬.৪২ স্ট্রাইক রেটে। পাঁচ ইনিংস বাদে টি-টোয়েন্টিতে চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেললেন বাবর। টি-টোয়েন্টিতে বাবরের স্ট্রাইক রেট নিয়ে একটা বিরাট সমালোচনা আছে। এবার অবশ্য সেই সমালোচনাও ধোপে টিকছে না।
রেকর্ড বুকেও ছোট্ট একটু ওলট-পালট হল। বিরাট কোহলিকে সরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন বাবর। সবার ওপরে আছেন রোহিত। বিরাট বা রোহিত – কেউই আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নেই। আর রানের দিক থেকে এখন রোহিতের ঘাড়েই নিশ্বাস ফেলছেন বাবর। ফলে, ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যাওয়া বাবরের জন্য কেবলই সময়ের ব্যাপার।
কিভাবে খেলতে হয় অজি উইকেটে সেটা বাবর দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, কিন্তু বাবরের দেখানো রাস্তায় হাঁটেনি পাকিস্তান। তাই তো দারুণ সূচনার পরও অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণে হাঁসফাঁস করেছে পাকিস্তান। মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। নিয়মিত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বিশ্রাম দিয়ে সালমান আঘাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল – তাতেও লাভ হল না পাকিস্তানের।
ওয়ানডেটে পাকিস্তান যেভাবে শক্ত হয়ে আক্রমণ করেছিল, টি-টোয়েন্টিতে ঠিক তাঁর উল্টো রূপটাই দেখা গেল। আর তাই তো হওয়ার কথা, মাঠের বাইরে যখন কোচ নিয়ে ছেলেখেলা, বার বার অধিনায়ক পাল্টানোর মত ঘটনা ঘটে – মাঠের ভিতরে তো তাঁর প্রভাব থাকবেই।