সমস্যার শেষ নেই ভারতের! আছে সমাধানও!

সমস্যার সমাধান রয়েছে ভারতের কাছে। এখন তারা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করবে নির্দিষ্ট পাঁচদিনে দলগত নৈপুন্য দেখাবে সকলে। তাদের যে এই সিরিজ জেতা প্রয়োজন। অন্তত চারটি টেস্ট জিততেই হবে ভারতকে। নতুবা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের রাস্তাটা যে হয়ে যাবে অবরুদ্ধ।

বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে থেকে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি খেলতে নামছে ভারত। ঘরের মাঠে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা। প্রথম টেস্টে অধিনায়কের অনুপস্থিতি। সেই সাথে তরুণ ব্যাটারের ইনজুরি। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বৈরি কন্ডিশন। সবকিছু মিলিয়ে বেজায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে গোটা দল।

কিন্তু দুশ্চিন্তায় একেবারের মুষড়ে পড়ছে না ভারত। কেননা সমস্যার সমাধানও রয়েছে তাদেরই কাছে। যদিও সেই সমাধান কতটুকু ফলপ্রসু হবে সেটা সময়ই হয়ত বলে দেবে। কিন্তু এখন অন্তত বিকল্প পন্থায় অজি বধের ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে গৌতম গম্ভীরের ভারত।

পার্থ টেস্টের শুরুতে ভারতের মূল সমস্যা তাদের টপ অর্ডার। দ্বিতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। আর সেই সময়ে স্ত্রীর পাশে থাকতে চান রোহিত শর্মা। তাইতো নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়াই সিরিজ শুরু করতে হচ্ছে ভারতকে। অন্যদিকে বুড়ো আঙ্গুলের ইনজুরি নিয়ে দল থেকে ছিটকে গেছেন ইনফর্ম শুভমান গিল।

এই দুইজনের অবর্তমানে এক ও তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে একটু ভিন্ন পরিকল্পনা সাঁজাতে হচ্ছে ভারতকে। যদিও তাদের সমৃদ্ধ ক্রিকেট কাঠামো খেলোয়াড় উৎপাদনে নিরাশ করেনি। তাইতো অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলকে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে যশ্বসী জয়সওয়ালের সাথে। রাহুল বেশ আস্থাভাজন সেনানী। অতএব তিনি রোহিতের অপূর্ণতা পূরণের চেষ্টা করতে পারবে হয়ত।

অন্যদিকে শুভমান গিলের সমাধান হয়ে হাজির হতে পারেন দেবদূত পাদ্দিকাল। বেশ উঁচু গড়নের দেবদূত, অনায়াসে পার্থে পেসবান্ধব উইকেটে নিজেকে সামলে নিতে পারবেন। সেই সাথে দলের তিন নম্বর স্থানটাও হয়ত সামলে নেবেন তিনি।

অন্যদিকে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব পূরণের চেষ্টায় রয়েছেন মরনি মরকেল। ভারতের পেস বোলিং কোচ নিতিশ কুমার রেড্ডির উপর দিয়েছেন নজর। দলের নিয়মিত বোলারদের বিশ্রামের কারণ হতে পারেন তিনি। আবার পেস বোলিং অলরাউন্ডারের সমাধানও হতে পারেন তিনি।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে তুখোড় দুই বা-হাতি ব্যাটার রয়েছে। উসমান খাজা ও ট্রাভিস হেড ভারতের গলার কাটায় পরিণত হতে পারে যেকোন সময়ে। সেই দিক বিবেচনায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনে টিম ম্যানেজমেন্ট রাখছে আস্থা। রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটিংটা এখন আর মুখ্য বিষয় নয়।

সমস্যার সমাধান রয়েছে ভারতের কাছে। এখন তারা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করবে নির্দিষ্ট পাঁচদিনে দলগত নৈপুন্য দেখাবে সকলে। তাদের যে এই সিরিজ জেতা প্রয়োজন। অন্তত চারটি টেস্ট জিততেই হবে ভারতকে। নতুবা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের রাস্তাটা যে হয়ে যাবে অবরুদ্ধ।

Share via
Copy link