শর্ট বলে টলেননি মিরাজ

উপায়ন্তর না দেখে জায়ডেন সিলস মৌখিক আক্রমণকেই সম্বল ভাবলেন। ওভার শেষে আম্পায়ারের হাত থেকে ক্যাপ নেওয়ার আগে এগিয়ে আসলেন মিরাজের দিকে।

আলজারি জোসেফের শর্ট বলে হুক করে কি বিরাট ভুলই না করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেই ঘটনাই তাঁতিয়ে দিল ক্যারিবিয়ান পোসরদের।

একের পর এক শর্ট বল ধেয়ে আসল। বিশেষ করে মিরাজের দিকে। প্রমোশন পেয়ে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন। তার ওপর ক্যারিবিয়ানে বোলিংয়ের এই রূপ দেখে তিনি অভ্যস্ত নন।

সামলাতে পারলেন না। একটা বলে পুরোপুরি ডাক করতেও পারলেন না। বল আঘাত করল বাম কাঁধে। ফিজিও এসে ম্যাজিক স্প্রে দিলেন। ধারাভাষ্য থেকে কার্টলি অ্যামব্রোস বললেন, ‘শর্ট বলের বিপক্ষে এটা খুবই বাজে টেকনিক।’

আহত মিরাজের প্রতি অবশ্য তাতেও খুব একটা সদয় হল না উইন্ডিজ পেসাররা। কখনও জোসেফ, কখনও জায়ডেন সিলস – শর্ট বল আর বাউন্সার চললই। অধিকাংশই হুক করতে গিয়ে ব্যর্থ হলেন মিরাজ।

তাতেও উপায়ন্তর না দেখে জায়ডেন সিলস মৌখিক আক্রমণকেই সম্বল ভাবলেন। ওভার শেষে আম্পায়ারের হাত থেকে ক্যাপ নেওয়ার আগে এগিয়ে আসলেন মিরাজের দিকে। যা বললেন তার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘তুমি তো শর্ট বল খেলতে পারো না, তুমি কিভাবে ক্যাপ্টেন্সি করো?’

ক্যারিবিয়ান উইকেট আগের মত পেস বান্ধব নয়, তবে অ্যান্টিগার এই উইকেটটা ব্যতিক্রম। এটা আজও কথা বলে পেসারদের হয়েই। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেই তো চার-চারটা পেসার।

তবে, শর্ট বল মোকাবেলার কৌশল রপ্ত করাটাও মিরাজের জন্য এখন সময়ের দাবি। তিনি চলতি বছর টেস্টে রান করেছেন ৪০-এর ওপর গড় নিয়ে। শর্ট বলের ঝুঁকি এড়ালে তাঁর নিজের বিকাশের জন্যই তো লাভ।

Share via
Copy link