বার্সেলোনার বিপক্ষে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর নড়েচড়ে বসেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর থেকে একে একে ছয় ম্যাচের সবকয়টিতে জয় তুলে নেয় তাঁরা। জার্মান প্রতিনিধিদের জয় রথ থামাতে পারেনি ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেইনও, উল্টো হেরে বসেছে ১-০ ব্যবধানে। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাঁদের খেলা নিয়েই শঙ্কা জেগেছে।
টুর্নামেন্টে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল পিএসজি, নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিরোনাকে হারায় তাঁরা। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন, আর্সেনাল এবং অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে বসে তাঁরা। এমনকি জিততে পারেনি তুলনামূলক খর্ব শক্তির পিএসভির বিপক্ষেও। সবমিলিয়ে নড়বড়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁদের সামনে।
সেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হলো বায়ার্নের বিপক্ষে পরাজয়ের পর; পাঁচ ম্যাচ শেষে স্রেফ চার পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাঁদের। আর টেবিলে তাঁদের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে, তবে শাখতার ডোনেস্ক কিংবা জিরোনা তাঁদের পরবর্তী ম্যাচ জিতলে অবস্থানের অবনতি ঘটবে আরো।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্ব শেষে শীর্ষ আট দল সরাসরি খেলবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে। পরবর্তী ষোল দল থেকে প্লে-অফের ভিত্তিতে বেছে নেয়া হবে আরো আট দল। অর্থাৎ সেরা ২৪ এর মধ্যে থাকতে না পারলে বিদায় বলে দিতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে। এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে না চাইলে নাসের আল খেলাইফির দলকে দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা!
বায়ার্নের বিপক্ষে অবশ্য দলটির ফরোয়ার্ডরা ছিল একদম নিষ্প্রাণ। ব্র্যাডলি বারকোলা ৭৭ মিনিট পর্যন্ত খেলে পাস দিয়েছেন স্রেফ নয়টা, গোল মুখে শট নিতে পারেননি একটাও। ওসমান ডেম্বেলে তো আরো এক কাঠি সরেস, অহেতুক ফাউল করে ৫৭ মিনিটের মধ্যে জোড়া হলুদ কার্ড হজম করে বসেছিলেন। দশ জন নিয়ে ম্যাচে ফেরাটা তো এমনিই অসম্ভবের কাছাকাছি।
হ্যারি কেইন, লিরয় সানেও হতাশ করেছেন এদিন; তবে শেষমেশ পার্থক্য গড়ে দিয়েছে মিন জা কিমের হেডার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে এটি তাঁর প্রথম গোল। এরই সুবাদে স্বস্তির জয় পেলো বাভারিয়ানরা।