শান্তভাবেই ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন শান্ত!

যদিও 'যদি কিন্তুর' অনেক প্রশ্নই কিন্তু রয়ে যায়, ফরম্যাটটা যে টি-টোয়েন্টি। ফুল ফিট হয়ে গেলে এর থেকে আরও ভালোই করবেন হয়ত, এমন প্রত্যাশাই আপাতত দেশের ক্রিকেট ভক্ত-সর্মথকদের।

ইনজুরি থেকে ফিরেই ফিফটি হাঁকালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাস খানেক পরে বাইশ গজে নেমে, বেশ শান্ত স্বভাবেই ব্যাট করলেন তিনি। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে বরিশালের বিপক্ষে খেললেন ৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস। পাঁচ বাউন্ডারির সাথে নামের পাশে আছে চার ওভারবাউন্ডারি। পুরোপুরি ফিট না হয়েও বেশ দারুণ প্রত্যাবর্তনই করলেন বোধহয়।

চলতি বছরটা টি-টোয়েন্টিতে খুবই জঘন্য ফর্মে ছিলেন তিনি। ২১ ম্যাচে ১৮.৮৪ গড়ে ৩৫৮ রান করেছেন শান্ত। স্ট্রাইকরেটটা বড্ড দৃষ্টিকটু, ১০২.৫৮। আধুনিক ক্রিকেটের জামানায় টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পারফরম্যান্স হিসেবে যা বড্ড বেমানান।

তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে কিন্তু বেশ ভালো ছন্দেই ছিলেন তিনি৷ সেই রেশ টেনেই আজ ওয়ানডে মেজাজেই ৪২ বলে ফিফটি তুললেন শান্ত। তবে ফিফটির পরেই যেন টি-টোয়েন্টি আমেজটা গায়ে মাখলেন তিনি। ছক্কা মেরে ফিফটি তোলার পর খেলেছেন আরও ১২টি বল।

রান তুলেছেন ২৭, মেহেদী হাসানকে টানা তিন বলে মারলেন দুই ছক্কা আর এক চার। তবে কিছুটা ধন্যবাদ অবশ্য বরিশালের ফিল্ডারদেরও প্রাপ্য৷ ব্যক্তিগত ৫৪ রানের সময়ে শামসুল অনিকের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। তবে সে সুযোগ যেন অবহেলায় ফিরিয়ে দেয় বরিশাল।

যার ফলে ধীরগতির ইনিংসটাকে শেষে এসে বেশ ভালোই সমাপ্তি টানতে পারলেন শান্ত। ইনজুরি থেকে ফিরে এসেই বেশ ভালোই করলেন হয়ত শান্ত।

তবে, ‘যদি কিন্তু’র অনেক প্রশ্নই কিন্তু রয়ে যায়, ফরম্যাটটা যে টি-টোয়েন্টি। ফুল ফিট হয়ে গেলে এর থেকে আরও ভালোই করবেন হয়ত, এমন প্রত্যাশাই আপাতত দেশের ক্রিকেট ভক্ত-সর্মথকদের।

 

Share via
Copy link