বিশ্বাসে শিরোপা জিতেছে মুগ্ধরা

শেষ অবধি সেই বিশ্বাসই মুগ্ধদের হাতে তুলে দিয়েছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টির ট্রফি। ম্যাচ সেরা মুগ্ধও তাই উচ্ছ্বসিত। যেকোন শিরোপাই তো আনন্দের দোলা দিয়ে যায় হৃদয় জুড়ে।

১৩ দিনের একটা লড়াইয়ের অবসানটা হয়নি মনমত। লো স্কোরিং এক ম্যাচে রংপুর বিভাগ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে। বল হাতে মেগা ফাইনালের শুরুতেই আঘাত হানেন মুকিদুল মুগ্ধ। ঢাকা মেট্রোর টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন তিনি একাই। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও উঠেছে তাই তার হাতে।

ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই রংপুরের পরিকল্পনা ছিল প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্য, ফাইনাল ম্যাচে প্রত্যেকেই চাপে থাকে। আমরা চাপ বাড়াতে চেয়েছি।’ বোলিং পাওয়াটাই তাদের জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হয়ে ধরা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বোলিং পাওয়ার কারণে সবথেকে বড় হেল্প হয়েছে। আমরা টার্গেট করছিলাম যত কম রানে আমরা আটকাতে পারব, তত আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হবে।’

উইকেট থেকেও বোলাররা এদিন দারুণ সুবিধা পেয়েছে। বল হাতে বোলিং প্রান্তে যাওয়া মাত্রই বিষয়টি উপলব্ধি করে ফেলে রংপুরের বোলাররা। মুগ্ধ বলেন, ‘যখন দেখছি উইকেটটা আমাদের হেল্প করতেছে তখন আমরা একসাথে হয়েছি, কথা বলছি যে ব্যাটসম্যানদের খেলতে দিব না। রুম দিবো না। মারার বল দিবো না।’

 

এই পরিকল্পনায় সফল হয়েছে গোটা রংপুর দল। মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা মেট্রো। মুগ্ধরা বল হাতে নিজেদের কাজটা করে গেছেন দুর্দান্তভাবে। কিন্তু উইকেট ছিল বোলারদের পরম বন্ধু। ঢাকা মেট্রো মাত্র ১৮ রানের মাথায় রংপুরের চারটি উইকেট তুলে নেন। তখন চাপে পড়েছিল রংপুর।

কিন্তু মুগ্ধ জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। সে সময়ে ড্রেসিংরুমের অবস্থা কেমন ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে মুগ্ধ বলেন, ‘না তেমন কিছু না। আমরা এমনিতে কুল ছিলাম। আমাদের ব্যাটসম্যান অনেক ভাল ছিল। সবাই অলরাউন্ডার ছিল। এ কারণে আমাদের সবার প্রতি বিশ্বাস ছিল যে নামবে সে ম্যাচ জিতিয়ে নিয়ে আসবে।’

শেষ অবধি সেই বিশ্বাসই মুগ্ধদের হাতে তুলে দিয়েছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টির ট্রফি। ম্যাচ সেরা মুগ্ধও তাই উচ্ছ্বসিত। যেকোন শিরোপাই তো আনন্দের দোলা দিয়ে যায় হৃদয় জুড়ে।

Share via
Copy link