লং অনে প্রায় সহজ একটা ক্যাচ। সেখানে ফিল্ডার নাসুম আহমেদ ছিলেন। কিন্তু হায়! নাসুমের হাত ফসকে বলটা যে বেরিয়েই গেল। জীবন পেয়ে যান এনামুল হক বিজয়। কিন্তু বিজয়ের সেই হাসি বেশিক্ষণ হয়নি স্থায়ী। নাসুমই বিজয়কে পাঠিয়েছেন প্যাভিলিয়নে।
ক্রিজে এসেই যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন এনামুল হক বিজয়। একটা আগ্রাসী সূচনা। মোহাম্মদ নাওয়াজের বিপক্ষে রিভার্স সুইপে চার মেরে ভয়ংকর হয়ে উঠার আভাস দিচ্ছিলেন।
নিজের খেলা ষষ্ঠ বলটাতেই ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অন ছক্কা হাঁকাতে চাইলেন বিজয়। কিন্তু সে যাত্রায় নাসুম বাঁচিয়ে দেন তাকে।
তবে জীবন পেয়ে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি এনামুল। পরের ওভারেই বোলিংয়ে আসেন নাসুম। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্রিজে গিয়ে আবারও চড়াও হতে চাইলেন বিজয়।
মিডল স্ট্যাম্প থেকে সরে এসে ফুলার লেন্থের বলটা স্লগ সুইপের মতই খেলতে চাইলেন এনামুল। কিন্তু বিধিবাম, এবারও জায়গা মত ফিল্ডার আছেন। ইমরুল কায়েস ভুল করেননি। ঠান্ডা মাথায় খুব সহজেই তালুবন্দী করেছেন বলটা।
পাঁচ রানে জীবন পাওয়া এনামুলের ইনিংস শেষ হল মাত্র সাত রানেই। ক্যাচ মিসের খেসারতটাও তাই আর বড় অংকে দিতে হয়নি খুলনা টাইগার্সকে। নাসুম ও পেয়ে গেলেন দায়মুক্তি। টি-টোয়েন্টেতে একটি ছুটে যাওয়া ক্যাচই তো পরবর্তীতে ধারণ করে বিশাল আকার।