সতীর্থ শামীম যেন ফিনিশার আকবরের পথপ্রদর্শক

গতির ভীতি খানিক কমতে শুরু করেছে আকবরের সেটাই স্বস্তি। অধিনায়ক ম্যাটেরিয়াল আকবর যেদিন সত্যিকার অর্থেই কার্যকর ফিনিশারে পরিণত হবেন, সেদিন হয়ত খুলে যাবে আরও কোন শিরোপার দুয়ার।

প্রায় ২৩৩ স্ট্রাইক রেটের একটা ক্যামিও ইনিংস খেলে গেলেন আকবর আলী। দলের সংগ্রহকে শেষের দিকে খানিকটা বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন দুর্বার রাজশাহীর এই ব্যাটার। ফিনিশিংয়ের আসল মানে যেন বুঝতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা।

আগের দিন চট্টগ্রাম কিংসের শামীম পাটোয়ারি দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। অসাধারণ ফিনিশিংয়ের এক প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছেন শামীম। তারই সতীর্থ আকবর কম যান না। তার বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংসই তো বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে এখন অবধি সর্বোচ্চ শিরোপা।

বেশ প্রত্যাশা ঘিরে ধরেছিল তাকে। আকবর অবশ্য সেই প্রত্যাশা এখনও পূরণ করতে পারেননি। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে দিয়েছিলেন নেতৃত্ব। সেই দলটার বেশ কিছু খেলোয়াড় এখন জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আকবর আলী সেই অর্থে এখনও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি।

অবশ্য অধিনায়কত্বে তার জুড়ি মেলা ভার। এই তো কিছুদিন আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জিতেছেন তিনি অধিনায়ক হিসেবে। সমস্যা হচ্ছে, অধিনায়ক হিসেবে যতটা আলো ছড়াতে পেরেছেন তিনি, ততটা আলোক রশ্মি ছড়ায়নি তার ব্যাট।

ভীষণ দূর্বলতা রয়েছে তার পেসারদের বিপক্ষে। হাতে শটের রেঞ্জও কম। কিন্তু স্পিনারদের দেখেশুনে বেধম প্রহার করতে জানেন। কিন্তু ব্যাটিং পজিশন অনুযায়ী তাকে অধিকাংশ সময়েই সামলাতে হবে পেসারদের। তিনি নিশ্চয়ই জানেন। কেননা যেকোন দলে তাকে পাঠানো হয় ইনিংসের সুন্দর এক সমাপ্তি রেখা টেনে দিতে।

তাইতো পেসারদের বিপক্ষে অনায়াসে খেলতে পারদর্শী হতে হবে তাকে। সে যাত্রাই হয়ত শুরু করেছেন আকবর। তার এক ঝলক দেখা গেল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। মাত্র ৯ বলে ২১ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেছেন। দলের সংগ্রহকে ১৭৮ অবধি নিয়ে গেছেন আকবর।

নিজের এই ক্যামিও ইনিংসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন আকবর। সবগুলো বাউন্ডারিই তিনি মেরেছেন পেসারদের বলে। যদিও শটে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ ছিল কি-না সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবুও গতির ভীতি খানিক কমতে শুরু করেছে আকবরের সেটাই স্বস্তি। অধিনায়ক ম্যাটেরিয়াল আকবর যেদিন সত্যিকার অর্থেই কার্যকর ফিনিশারে পরিণত হবেন, সেদিন হয়ত খুলে যাবে আরও কোন শিরোপার দুয়ার।

 

Share via
Copy link