মুশফিকুর রহিম, ৩৮ বছরেও তরুণদের সাথে পাল্লা দিচ্ছেন

চারজনকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় হলেন। এটাই বরং প্রমাণ করে মুশফিকের শৃঙ্খল জীবনের মাহাত্ম্য। আর সেই শৃঙ্খলাই তাকে বানিয়েছেন অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন।

চারজনকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় হলেন। এরপর রিক্সায় চড়ে বাড়ির পথ ধরলেন, মেট্রোরেলে করে ফিরলেন নিজের গন্তব্যে। মুশফিকুর রহিম অতি সাধারণ এক চরিত্র, কিন্তু সেই চরিত্রের মাঝেই লুকিয়ে আছে এক অসাধারণ স্পোর্টসম্যান।

জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের হয়েছে ফিটনেস টেস্ট। ১৬০০ মিটার দৌড়াতে হয়েছে প্রত্যেককে। সময়ও বেঁধে দেওয়া ছিল। ৬ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে পার হতে হবে নির্দিষ্ট দূরত্ব। প্রথম গ্রুপের সাথে দৌড় শুরু করলেন মুশফিকুর রহিম। একটু ধীরলয়ে শুরু। তার মাথায় নিশ্চয়ই তখন ঘুরছিল ‘স্লো এন্ড স্টেডি উইনস দ্য রেস’।

খুব একটা তাড়াহুড়ো না করে, একাগ্রতার সাথে তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন ফিনিশিং লাইনের দিকে। ঠিক যেমনটা করে এসেছেন তিনি তার গোটা ক্যারিয়ার জুড়ে। একাগ্রতা আর অধ্যাবসায়ই তো মুশফিককে বানিয়েছিল ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। দেখতে দেখতে কতটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেললেন তিনি।

বয়সটা এখন ৩৮ বছর। সাদা বলের দুই ফরম্যাটকে বিদায় বলে দিয়েছেন। এখন শুধু সফেদ জার্সির মায়া আকড়ে ধরে আছেন। ওই একটা ফরম্যাটের জন্যেও তার নিবেদনের কমতি নেই এক ছটাক। তরুণ সব খেলোয়াড়দের সাথে ফিটনেস টেস্ট দিতেও দ্বিধা নেই তার। অধ্যাবসায়ের ফলাফলও তিনি পেলেন ফিটনেস টেস্টে।

৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডেই তিনি পূর্ণ করলেন ১৬০০ মিটার। প্রথম গ্রুপের মধ্যে তিনি হয়েছেন দ্বিতীয়। তার আগে ছিলেন স্রেফ তরুণ পেসার নাহিদ রানা। ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে নাহিদ পৌঁছেছেন ফিনিশিং লাইনে। সেই গ্রুপে আরও সকল তরুণদের পেছনে ফেলে মুশফিক হয়েছেন দ্বিতীয়।

এটাই বরং প্রমাণ করে মুশফিকের শৃঙ্খল জীবনের মাহাত্ম্য। আর সেই শৃঙ্খলাই তাকে বানিয়েছেন অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন। ক্লান্ত শরীরে গুলিস্তানের যানজটে গাড়ি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাইতো তিনি মাঠ ছেড়েছেন রিক্সায় চেপে। এরপর মতিঝিল থেকে মেট্রো ধরে ফিরেছেন বাড়িতে। একেবারে সাদামাটা জীবনযাপনে মুশফিক অন্যদের থেকে আলাদা।

Share via
Copy link