বয়স নিয়ে না, তাঁর প্রকাণ্ড সব শট নিয়ে আলোচনা করাই শ্রেয়

বৈভব সুরিয়াভানশির বয়স নিয়ে আলোচনা থামার নাম নেই। ব্যাটে আগুন, চোখ ধাঁধানো আত্মবিশ্বাস, যিনি আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান, তাকেই ঘিরে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তাঁর বয়স। অথচ তিনি যেখানেই খেলছেন ঝরো সব সেঞ্চুরি করছেন।

বৈভব সুরিয়াভানশির বয়স নিয়ে আলোচনা থামার নাম নেই। ব্যাটে আগুন, চোখ ধাঁধানো আত্মবিশ্বাস, যিনি আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান, তাকেই ঘিরে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তাঁর বয়স। অথচ তিনি যেখানেই খেলছেন ঝরো সব সেঞ্চুরি করছেন।

সম্প্রতি ২০২০ সালের একটা ছবিকে তাঁর ২০১০ সালের ছবি বলে দাবি করা হয় স্যোশাল মিডিয়ায়। অথচ, ২০১৭ সালে তাঁর একটা ছবি টুইটারে বেশ জনপ্রিয় হয়, যেখানে তাঁকে বাবার কোলে আইপিএলের গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল। তাঁরপরও স্যোশাল মিডিয়ার মোরাল পুলিশিং আটকানো যাচ্ছে না।

উপমহাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বয়স কমানো অভিযোগ নতুন নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বয়স যাচাইয়ে চালু হয়েছে বোন এজ টেস্ট, কাগজপত্র যাচাই আরও শক্ত করা হয়েছে। বৈভবের ক্ষেত্রেও সরকারি নথিতে এখন পর্যন্ত কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি।

বোন এজ টেস্টে বয়স কোনো ভাবেই লুকোনোর উপায় নেই। যে কারণে, সুরিয়াভানশির মত ক্রিকেটারদের বয়স কমানোর কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানে যাই হোক না কেন, বিসিসিআই এই বিষয় নিয়ে বেশ সিরিয়াস, এই অভিযোগ নিয়ে নিতিশ রানা কিংবা শিভাম মাভিদের মত শীর্ষ ক্রিকেটাররাও বোর্ডের শাস্তি পেয়েছেন।

মোদ্দা কথা হল সুরিয়াভানশি একজন জেনারেশনাল ট্যালেন্ট। বয়সের আলোচনা বৈভবের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে। তাঁর প্রতিভা অস্বীকার করার উপায় নেই। আইপিএল, বিজয় হাজারে ট্রফি কিংবা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটের মত মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে সাহসে সে খেলছে, সেটা কেবল বয়স দিয়ে মাপা যায় না।

এই অঞ্চলে বয়স কমানো একটা রেওয়াজ। কারণে অকারণে, বাবা-মা কিংবা স্কুলের মাস্টারদের বয়স কমিয়ে দিতে দেখা যায়। তবে, ক্রিকেটে বিশেষ করে ভারতের ক্রিকেটে এটা প্রায় অসম্ভব। এটাই সুরিয়াভানশির সহজ বাস্তবতা। বয়স নিয়ে না, তাঁর প্রকাণ্ড সব শট নিয়ে আলোচনা করাই শ্রেয়।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link