বর্ষাকাল আপনার পছন্দের হলেও ক্রিকেট ভক্ত হলে আপনার নিশ্চই একটু মন খারাপ হবে। কেননা বৃষ্টিতে ক্রিকেটটা যে একেবারেই সম্ভব না। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ম্যাচের রেজাল্ট যদি ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে আসে তাহলে তো এর জটিলতা আরো বাড়ে।
সব মিলিয়ে ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেট ভক্ত কারো জন্যই বর্ষা মৌসুম খুব একটা উপভোগ্য না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক ম্যাচই বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে। এরমধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচেও বেঁকে বসেছিল বৃষ্টি। সেইসব বৃষ্টিবিঘ্নিত মহাগুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচ নিয়েই এই তালিকা।
- টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল
পুরো ক্রিকেট বিশ্ব মুখিয়ে ছিল প্রথমবারের মত একটি টেস্ট ফাইনাল দেখার জন্য। এতগুলো দলকে পিছনে ফেলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। তবে সাউদাম্পটনে ফাইনাল ম্যাচের প্রথম দিনের পুরোটাই ভেসে গেল বৃষ্টিতে।
প্রায় দুইবছর ধরে চলা একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল যদি বৃষ্টির কারণে ভেসে যায় তবে ক্রিকেট ভক্তদের কাছে সেটা বেশ দু:খজনকই বটে। বৃষ্টি এড়িয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়িয়েছে, এখন অপেক্ষা ম্যাচের বাকিটা প্রকৃতির কী আচরণ করে তা দেখার।
- ২০১৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল
২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে আসে ৪৩ ওভারে। সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যযেনো এক দুর্ভাগ্যই ছিল। কেননা ৩৮ তম ওভারে ক্রিজে ছিলেন এবিডি ভিলিয়ার্স ও ফাফ ডু প্লেসিস।
তাঁরা শেষ ৫ ওভারে করেছিল ৬৫ রান। সবমিলিয়ে ৪৩ ওভারে আফ্রিকার সংগ্রহ হয় ২৯৮ রান। ৫০ ওভারে খেলা হলে হয়তো এই দুইজন স্কোর ৩৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারতেন। সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড।
- ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল
২০১৫ সালের পর ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও আঘাত হানে বৃষ্টি। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ধোনির রান আউটে ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারত।
সেই দৃশ্য বোধহয় সব ক্রিকেট ভক্তের মনেই গেঁথে আছে। তবে সেই ওয়ানডে ম্যাচটি হয়েছিল দুইদিনে। নিউজিল্যান্ড ৩.৪ ওভার ব্যাটিং করার পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর রিজার্ভ ডে তে পরের দিন মাঠে গড়ায় সেই ম্যাচ।
- ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল
২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল ক্রিকেট বিশ্বের নয়া দুই পরাশক্তি ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ জয় করে ক্রিকেট বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। ওদিকে সৌরভ গাঙ্গুলির হাত ধরে নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। সেই দুই দলের ফাইনাল দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল ক্রিকেট বিশ্ব।
তবে, বৃষ্টি কারণে আর মাঠেই গড়ায়নি সেই ম্যাচ। এমনকি রিজার্ভ ডেও ধুয়ে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। পরে দুইদলকেই সেই আসরেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
- ১৯৯২ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল
১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালেও আঘাত হেনেছিল বৃষ্টি। সেই সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডের চূড়ান্দ বাজে রূপ দেখেছিল প্রোটিয়ারা। ফাইনাল খেলার জন্য তাঁদের দরকার ছিল ১৩ বলে ২২ রান। তারপরই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির পর বৃষ্টি আইনে জানানো হয় ৭ বলে ২২ রান করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এরপর বলা হয় সেটা ভুল ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২২ রান করতে হবে ১ বলেই। বুঝুন অবস্থা!