শঙ্কা মুক্ত চারজনই

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের মাঝ পথে চোটে পড়েছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। আর লিগ শুরুর আগেই চোট পেয়েছেন লিটন দাস। চোটের কারণে গ্রুপ পর্বের শেষ কয়েক ম্যাচ খেলতে পারেননি কেউই। অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে তাদের খেলা নিয়েও।

তবে জিম্বাবুয়ে সফরে এই চার ক্রিকেটারের খেলা নিয়ে শঙ্কার কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আজ (১৯ জুন) মিরপুরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বিসিবির এই চিকিৎসক জানিয়েছেন সব কিছু ঠিক থাকলে জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার আগেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন সবাই।

লিটন দাস চোট পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে। কব্জির চোটের কারণে তিনি লিগে খেলতে পারেননি একটি ম্যাচও। আর প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে আট ম্যাচ খেলেছেন তামিম। হাটুর চোটের কারণে তামিম খেলতে পারছেন না সুপার লিগেও। বিসিবির চিকিৎসক জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন দুই ওপেনারই।

লিটনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘লিটন রিস্ট স্ট্রেইনের সমস্যয় ভুগছেন গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। গতকাল ক্লাব ফিজিওর যে রিপোর্ট পেয়েছি সেখানে দেখা যাচ্ছে ওর দুই হাতের শক্তি প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এখন ওর ম্যাচ অনুশীলনের দরকার। লিটন যখন অনুশীলন করবে বা ম্যাচ খেলবে তখনই বোঝা যাবে ওর বর্তমান অবস্থাটা। ফিজিওর রিপোর্ট অনুযায়ী ওর চোটটা রিকভারির পর্যায়ে আছে।’

তামিমকে নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছেন না এই ডাক্তার। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ওর হাঁটুর ব্যথার কথা বলছিল। ওর সমস্য নিয়ে আমাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখছিল। গত তিন দিন আগে ব্যথা বেড়ে যাওয়াতে ভবিষৎয়ের কথা বিবেচনা করে আমরা সিদ্বান্ত নিয়েছি এটার এখনই পরিচর্যা দরকার। এবং সেই মোতাবেক সে খেলা থেকে বেড়িয়ে আসে। ও ফিজিওর তত্বাবধায়নে ও বিশ্রামেই আছে। ও বিশ্রাম নিলে তিন চার দিনের ভিতরই ব্যথা কমে আসবে। স্ক্যান দরকার হলে আমরা করবো তবে আপাদত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বিশ্রাম নিলেই ভালো হবে এবং জিম্বাবুয়েতে সমস্যা হওয়ার কোন কারণ দেখছি না।’

লিগের মাঝ পথে চোট পেয়েছেন জাতীয় দলের দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। চোটের কারণে গ্রুপ পর্বের শেষ কয়েক ম্যাচে মাঠে দেখা যায়নি তাদের। দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন কয়েক দিন পরিচর্যা করলেই সুস্থ হয়ে যাবেন দুই জন। জিম্বাবুয়ে সিরিজে চোটের কোন প্রভাব পড়বে না।

বিসিবির এই চিকিৎসক বলেন, ‘মুস্তাফিজ কোমরের ব্যথার কথা বলেছিল আমাদের কাছে। যেহেতু আমাদের হাতে সময় কম আমরা একটা স্ক্যান করিয়েছি ওর লো ব্যাকে। স্ক্যানে চোটের কোন কিছু আমরা দেখিনি। দুই এক দিনের পরিচর্যায় ব্যথাটা অনেক কমে গেছে। আমরা আশা করছি যেহেতু স্ক্যানের রিপোর্ট ভালো জিম্বাবুয়েতে এর প্রভাব পড়বে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাসকিনের হাতে একটা বলের আঘাতে ওর নন বোলিং হ্যান্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় আঙুলের মাঝখানে ছিড়ে যায়। এই চোটটা ওর আগেও ছিল। যথাযথ ভাবে একজন কসমেটিক্স সার্জন দ্বারা ওর সার্জারি করা হয়েছে। যেহেতু নন বোলিং হ্যান্ড, ওর বোলিংয়ে সমস্য হওয়ার কোন কারণ দেখছি না। দুই এক দিন পরেই বোলিং শুরু করতে পারবে। আশা করছি জিম্বাবুয়েতে এর কোন প্রভাব পড়বে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link