বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে খেলেছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা ৭০ জন। তবে, হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কেউই নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব উপরে নিয়ে যেতে পারেননি। আবার কেউ কেউ টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগই পাননি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হল পরীক্ষা নিরীক্ষার ফরম্যাট। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে কম পরীক্ষা নিরীক্ষা করেনি। সেই সুবাদে খুব অল্প কয়েকটা ম্যাচের জন্য কিছু ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হয়। তবে, লম্বা দৌঁড়ে তাঁরা টিকতে সক্ষম হননি। তাঁদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।
- নাদিফ চৌধুরী
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই অভিষিক্ত হন নাদিফ চৌধুরী। ২০০৬ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। অভিষেক ম্যাচে মাত্র ১০ রান করেন তিনি! বাংলাদেশ সেই ম্যাচে জয় পেলেও ব্যাট হাতে ভালো সময় কাটাতে পারেননি নাদিফ।
বাংলাদেশের হয়ে মাত্র তিন ম্যাচ খেলেছেন তিনি! এই তিন ম্যাচে মোটে ২৭ রান করতে সক্ষম হন নাদিফ। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যাপটাউনে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি। এরপর আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি তিনি।
- জাকির হাসান
তরুন এই বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে মাত্র এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাঁর অভিষেক ম্যাচে মাত্র ১০ রান করেন তিনি।
এরপর আর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয়নি তার। অবশ্য বয়সটা সবে মাত্র ২৩! ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আবারো হয়তো জায়গা পেতে পারেন এই তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
- সাকলাইন সজীব
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের জন্য নয় বছর অপেক্ষা করেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব। তবে অভিষেকটা তার জন্য ছিলো একটা দু:স্বপ্নের মতোই!
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার খেলা একমাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩.৩ ওভার বল করে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। সেটিই তাঁর খেলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম এবং শেষ ম্যাচ ছিল। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিতর্ক থাকায় ক্যারিয়ার বড় হয়নি তাঁর।
- সাজিদুল ইসলাম
অলরাউন্ডার সাজিদুল ইসলাম বাংলাদেশের হয়ে তিন টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। মূলত তিনি ছিলেন একজন পেসার। তিন টেস্টে ব্যাট হাতে ১৮ রান আর বল হাতে নিয়েছেন মাত্র তিন উইকেট।
একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ১ ওভারে ১৫ রান দেন তিনি! সবশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বুলাওয়েতে খেলা একমাত্র টি-টোয়েন্টি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এরপর আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি তিনি।
- নাজমুস সাদাত
৩৪ বছর বয়সী নাজমুস সাদাত বাংলাদেশের হয়ে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে মাত্র ৪ রান করেন এই ওপেনার। সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসেরই প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল।
বাংলাদেশ ওই ম্যাচে ৪৩ রানের জয় পেলেও আর কখনোই জাতীয় দলের মুখ দেখেননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন ২০১৪ সাল অবধি। ২৭ বছর বয়সেই তিনি ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। তাঁর ক্যারিয়ার বড় না হওয়ার পেছনে শারীরিক অসুস্থতাও বড় একটা কারণ।