নড়বড়ে ৯৯-এ রান আউট!

‘আমার নামটি লেখো’। ২০১০ সালে লর্ডসে শতক হাঁকানোর পর এমনটাই ইঙ্গিত করেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। একজন ব্যাটারের কাছে একটি শতক মহামূল্যবান। টেস্ট ক্রিকেটে তো সেই শতকের মূল্য আরো বেড়ে যায় বহুগুণে। প্রতিটি ব্যাটারই চায় ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁয়ে দেখতে। কিন্তু তিন অংকের সেই ফিগারের অনেক কাছে গিয়ে রান আউট হওয়ার মতো দুঃখজনক বিষয় আর কি হতে পারে? আজকে এমন পাঁচটি ঘটনা নিয়েই হবে আলোচনা। যার মূল চরিত্রে থাকছেন বিশ্বনন্দিত পাঁচ ব্যাটার।

‘আমার নামটি লেখো’। ২০১০ সালে লর্ডসে শতক হাঁকানোর পর এমনটাই ইঙ্গিত করেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। একজন ব্যাটারের কাছে একটি শতক মহামূল্যবান। টেস্ট ক্রিকেটে তো সেই শতকের মূল্য আরো বেড়ে যায় বহুগুণে। প্রতিটি ব্যাটারই চায় ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁয়ে দেখতে। কিন্তু তিন অংকের সেই ফিগারের অনেক কাছে গিয়ে রান আউট হওয়ার মতো দুঃখজনক বিষয় আর কি হতে পারে? আজকে এমন পাঁচটি ঘটনা নিয়েই হবে আলোচনা। যার মূল চরিত্রে থাকছেন বিশ্বনন্দিত পাঁচ ব্যাটার।

  • শন মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)

‘মার্শ’ পরিবারের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শন মার্শ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডেতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে শন মার্শ ছয়টি শতক ও ১০টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে আরো একটি শতকের খুব কাছাকাছি গিয়েও অধরা থেকে যায়।

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৫ রানে অনবদ্য ৯৯ রানের এক ইনিংস খেলে রান আউট হন শন মার্শ। তাঁকে আউট করেছিলেন বিরাট কোহলি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় তাঁর ইনিংসটি ছিলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

  • মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)

ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের একজন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ঠান্ডা মাথার এই ক্রিকেটার বহুবার ভারতকে বাঁচিয়েছিলেন বিপর্যয় থেকে। তেমনই এক বিপর্যয়ের মুখে ২০১২ সালে ২৯৫ বলে ৯৯ রানে এক ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছিলেন ধোনি।

শতকের খুব কাছাকাছি গিয়ে রান আউটে কাঁটা পড়েন তিনি। মিড অফ অঞ্চল থেকে বল ছুঁড়ে দেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যালিস্টেয়ার কুক। তাঁর করা থ্রোতেই ইঞ্চি ব্যবধানে আউট হন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

  • জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলিং অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। ব্যাট ও বল হাতে সমান পারদর্শী ক্যালিস দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হওয়ার নজিড়ের অভাব নেই। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছিলো ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

শেন ওয়ার্ন ও ব্রেট লি এর বোলিং তোপে বিপাকে পড়ে প্রোটিয়া টপ অর্ডার। ৭৪ রানে যখন তিন উইকেট নেই প্রোটিয়াদের তখন ব্যাট করতে নেমে ১৮০ বলে ৯৯ রানে এক কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্যালিস। কিন্তু আফসোস ডেমিয়েন মার্টিন ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের যৌথ প্রচেষ্টায় রান আউট হয়ে যান ক্যালিস।

  • মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে ছিলেন একজন অসাধারণ ব্যাটার। ২০১৫ সালে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত টেস্টে তাঁর গড় ছিল ৫০ এর উপরে। এছাড়া সাদা পোশাকে তিনি ৩৪টি সেঞ্চুরিও করেছেন তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে।

তবে আরো একটি সেঞ্চুরি নিজের পরিসংখ্যানে যুক্ত করবার সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন জয়াবর্ধনে ২০০১ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৩ বলে ৯৯ রান করে বেশ সাবলীলই মনে হচ্ছিলো তাঁকে। কিন্তু মারলন স্যামুয়েল করা থ্রোতে রান আউট হয়ে শতকের আক্ষেপ নিয়েই সাজঘরে ফেরেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।

  • রোহান কানহাই (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্যাটার রোহান কানহাই ছিলে স্যার গ্যারি সোবার্সদের সমসাময়ীক। ১৯৫৯ সালে ভারতে একটি সিরিজ খেলতে এসেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সময়ে নবাগত ভারতের বিপক্ষে ৫০০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

যেখানে ছিলো রোহান কানহাইয়ের  অবদান। তিনি করেছিলেন ৯৯ রান। মেরেছিলেন ১৪টি চার। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তিনি সেই ৯৯ রানেই রান আউটের শিকার হন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...