বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে লড়াই করতে না পারলেও নিজ দেশের মাটিতে বাংলাদেশকে কখনো ছেড়ে কথা বলে না জিম্বাবুয়ে। আগের দুই সফরের স্মৃতিও বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয়। এবারও বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তত আফ্রিকার এই দেশটি। পেসার রুবেল হোসেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সম্ভবনার কথা বললেও একমাত্র টেস্টের ফলাফল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
২০১৩ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল বাংলাদেশ। ঐ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র ও ওয়ানডে সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১১ সালেও জিম্বাবুয়েতে টেস্ট হেরেছিল সাকিব তামিমরা। এক ভিডিও বার্তায় রুবেল জানিয়েছেন এবার সীমিত ওভারের ম্যাচে ভালো সম্ভাবনা আছে তাঁদের। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেললে টেস্টেও ভালো হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় বিগত কয়েক বছর ধরে ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলছি, তাই ওয়ানডেতে খুবই ভালো সম্ভাবনা আছে। টি-টোয়েন্টিতেও আমাদের যে টিম আমার মনে হয় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিত সিরিজে যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আর টেস্টের কথা যদি বলেন, তাঁদের হোম কন্ডিশনে খেলা, আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব অনুযায়ী ভালো খেলতে পারি, তাহলে টেস্টেও পজিটিভ কিছু আশা করতে পারি।’
রুবেল সর্বশেষ সফরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘শেষ বার আমরা যখন জিম্বাবুয়ে গিয়েছি আমরা ট্রফিটা আনতে পারিনি। যদিও ইনশাআল্লাহ এবার আমাদের টিমটা ভালো। ব্যালেন্স টিম। ভালো ভালো ক্রিকেটার আছে আমাদের টিমে। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে ট্রফিটা ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ নিয়ে আসবে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলার সময় চোট পেয়ে ছিলেন রুবেল হোসেন। এই পেসার জানিয়েছেন এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন। জিম্বাবুয়ে সফরে শুধুমাত্র ওয়ানডে দলে রয়েছেন রুবেল। তিনি জানিয়েছেন ঠান্ডা কন্ডিশনে আগেও খেলার কারণে নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি।
এই পেসার বলেন, ‘আমি সুস্থ ও ফিট আছি। লাস্ট ডিপিএলে আমার একটু সমস্যা ছিল। এখন শতভাগ ফিট আছি। যদি সুযোগ পাই শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। যেহেতু এই রকম ঠাণ্ডা কন্ডিশনে আমরা অনেক সফর করেছি।’
তবে রুবেল মনে করেন জিম্বাবুয়ে পেসারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন। কিন্তু ভালো করতে বড় ভূমিকা রাখতে হবে পেসারদেরই। রুবেল জানিয়েছেন দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করলেই সফল হবেন তারা।
তিনি বলেন, ‘পেস বোলারদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং। যদিও পেস বোলারদের অনেক বড় ভূমিকা রাখতে হবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে। পেসাররা যদি টিমের প্লান অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ আমার মনে হয় পেসাররা অনেক সফল হবে।’