প্রায় দেড় বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রত্যাবর্তনে দলের বিপর্যয়ে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, অপরাজিত ছিলেন ১৫০ রানে। সেই মাহমুদউল্লাহই কিনা এই টেস্ট শেষ হওয়ার আগেই টেস্ট থেকে বিদায় নেওয়ার ভাবনাটাও ভেবে ফেলেছেন তিনি।
হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে টিম মিটিংয়ে টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে, হারারে টেস্টটাই যে তাঁর শেষ টেস্ট সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে, এটা ঠিক যে – ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান হয়তো দ্রুতই সাদা পোশাককে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়ে ফেলবেন। বোঝাই যাচ্ছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আরো বেশি মনোযোগী হতেই তিনি টেস্টকে বিদায় বলার কথা ভাবছেন। হয়তো, পিঠের পুরনো ইনজুরিটাও এর একটা কারণ।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টেস্টে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। অভিষেকে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন আট উইকেট। তখন অভিষেকে কোনো বাংলাদেশি বোলারের সেরা বোলিং ফিগার ছিল সেটা।
এরপর দেশের হয়ে খেলেছেন ৫০ টি টেস্ট ম্যাচ। যদিও, সনাথ জয়াসুরিয়া, শোয়েব মালিক বা স্টিভেন স্মিথের মত কালক্রমে পুরোদস্তর ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন তিনি। এই ৫০ ম্যাচের ৯৪ ইনিংসে ৩৩.১১ গড়ে ২৯১৪ রান সংগ্রহ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে ১৬ টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে ৫ টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।
টেস্টে বল হাতেও মোটামুটি সফল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৫০ টেস্টে ৬৫ ইনিংস বল করে ৪৫.৩৩ গড়ে ৪৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেয়ে ছিলেন এক বার। ম্যাচ সেরা বোলিং ফিগার ১১০ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার, সেই অভিষেক টেস্টে।
তবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন তিনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখনো দলের অপরিহার্য্য অংশ অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কও তিনিই। সব কিছু ঠিকঠাক থঅকলে তাঁর অধীনেই বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ দল।
১৯৭ ওয়ানডেতে ৩৫ গড়ে ৭৭.১৭ স্টাইকরেটে ৪৪১০ রান সংগ্রহ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডেতে ২৫ টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে রয়েছে ৩ টি সেঞ্চুরি। তিনটি সেঞ্চুরির দুটি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ও একটি ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ওয়ানডেতে ৫.১৭ ইকোনোমিতে ৪৭.৩ গড়ে ৭৬ টি উইকেটও রয়েছে তাঁর।
৮৯ টি-টোয়েন্টিতে ২৩.৯ গড়ে ১২৩.১৪ স্টাইকরেটে ১৫০৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। কোন সেঞ্চুরি না থাকলেও রয়েছে চারটি হাফ সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে ৩১ টি উইকেট পেয়েছেন তিনি।