নীরব নায়ক

স্পেনের দুই ক্লাব – বার্সেলোনা বা রিয়াল মাদ্রিদ বিখ্যাত হয়ে আছে, তার স্কাউটিং এর জন্য। আর যদি একাডেমীর কথা ধরা হয়, তবে কাতালানরা কয়েক গোল দিতে পারে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরকে। সে লিওনেল মেসি-আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা হোক বা হালফিলের আনসু ফাতি। এই চিরচারিত বার্সা মডেলের অন্যতম ফসল হলেন সার্জিও বুসকেটস।

আরো পড়ুন

বার্সেলোনা শহরে জন্ম হলেও লা মাসিয়ায় যোগদান করেন ১৭ বছর বয়সে। এরপর ২০০৭-০৮ মৌসুমে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সুযোগ পান বার্সেলোনা ‘বি’ দলে। তখন বার্সেলোনা বি দলের কোচ পেপ গার্দিওলা। প্রতিভার হদিস পেতে ভুল হয়নি তাঁর। পরের বছর সিনিয়র টিমের কোচ হয়ে প্রিয় ছাত্রকে নিয়ে আসেন মূল টিমে।

জাভি-ইনিয়েস্তাকে সঙ্গী করে মাঝমাঠে ফুল ফোটানো শুরু করলেন। একের পর এক শৃঙ্গ জয় করতে লাগলেন অনায়াসে। লা লিগা থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রে থেকে ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ – ক্যারিয়ারে বাদ পড়েনি কিছুই। এমনকি ২০১০ সালে ফুটবলের শ্রেষ্ঠ মহারণ – বিশ্বকাপ, তাও ছুঁতে পেরেছেন অনায়াসেই।

প্লে মেকার থেকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, বার্সার মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা থেকেছেন গত ১২ বছর। জাভি – ইনিয়েস্তা থেকে শুরু করে আজকের রাকিতিচ, স্বচ্ছন্দে সবার সাথে মাঝ মাঠ শাসন করেছেন।

প্রথাগত স্টারের পর্যায়ে পড়েন না, বরং স্টারডম সরিয়ে রেখে ভরসার কান্ডারী হয়ে উঠেছেন এক যুগ ধরে। স্পটলাইট হয়তো কেড়ে নিয়ে যান মেসি, সুয়ারেজ কিংবা নেইমাররা। অথবা ফ্ল্যাশ লাইটের আলো মাঠের মাঝে পড়লেও সেটা শুষে নেন জাভি বা ইনিয়েস্তারা।

কিন্তু সেই আলো গুলোর ছায়া হয়ে থেকে যান যে অসংখ্য কারিগররা, বুসকেটস তাদের মধ্যে অন্যতম। বিশ্বকাপ জয়ী স্পেনের কোচ ভিনসেন্ট দেল বস্ক একবার বলেছিলেন – ‘If you watch the game, You don’t see Busquets. If you watch Busquets , you see the whole game.’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link