সন্তুষ্ট হয়েই ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাত্তা না পেলেও সফল ভাবে সিরিজ আয়োজন করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সদ্য শেষ হওয়া এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা অনুযায়ী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই সিরিজ নিয়ে আলোচনা শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের মূল শর্ত গুলো ছিল ইমিগ্রেশনে ছাড় দিতে হবে, হোটেলে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না ও কোন ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করতে তাকে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। তাদের সব শর্ত পূরণ করাতেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন,
‘অবশ্যই ওরা যথেষ্ঠ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। আমার মনে হয় যে ওরাও আশা করেনি যে আমরা এরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বায়ো বাবল তৈরি করতে পারবো এবং ওদের শর্ত অনুযায়ী সব কিছুই পূরণ করতে পারবো।’

অস্ট্রেলিয়ার সব শর্ত মেনে সফল ভাবে সিরিজ আয়োজন করলেও সুজন জানিয়েছেন সব কিছু নিশ্চিত করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল তাদের কাছে। সিরিজ সফল ভাবে আয়োজন করতে সব সময়ই অস্ট্রেলিয়ার সাথে যোগাযোগ রেখেছে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ ও ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটি।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে আসার আগে থেকেই ওদের সাথে আমাদের ক্রিকেট অপারেসন্স ও মেডিক্যাল বিভাগ সব সময় যোগাযোগ রাখছিলেন। তাদের যে শর্ত গুলো ছিল, বিশেষ করে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল।’

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন না করেই সরাসরি হোটেলে এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। মূলত চার্টার্ড ফ্লাইটে এসে জনবহুল এলাকা এড়াতেই এই বিশেষ সুবিধা পেয়েছিল সফরকারীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ডও।

তবে নিউজিল্যান্ড আসবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে। সুজন জানিয়েছেন বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসার কারনে এই সুবিধা পাবেন না নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা, ‘অবশ্যই একটু আলাদা থাকবে, অস্ট্রেলিয়া চার্টার্ড ফ্লাইটে এসেছিল তাই ইমিগ্রেশন না করে সরাসরি হোটেলে এসেছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসবে, তাই তাঁরা এই সুযোগ পাবে না।’

ইমিগ্রেশনে সুবিধা না দিলেও নিউজিল্যান্ডের জন্যও বিভিন্ন বাড়তি সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে বিসিবি। অস্ট্রেলিয়া বা বিদেশি দল বলেই শুধু অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সুজন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেও কঠোর জৈব বলয় তৈরি করেছেন তারা।

সুজন বলেন, ‘তবে যতোটুকু সম্ভব সহজ করা হবে। যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ হচ্ছে তাই ওদের চাহিদা থাকবে অস্ট্রেলিয়ার মতই সুযোগ সুবিধার। চেষ্টা থাকবে যতটুকু নিশ্চিত করা যায়। নিরাপত্তা শুধু অস্ট্রেলিয়া বা বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য নয়, আমাদের ক্রিকেটারদেরও বিষয় রয়েছে। এই বিষয় গুলো মাথায় রেখেই আমরা চিন্তা করছি ও পরিকল্পনা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link