নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করার চিন্তা ভাবনা করছেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল খান। দীর্ঘ দিন ধরেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে তামিম সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন প্রায় দেড় বছর আগে গত বছরের মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
গত মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে হাঁটুর চোটের কারণে দুই মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন তামিম। চোট কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ না হলেও চার সপ্তাহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করেছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে এখন ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন তামিম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আজ গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন এখন ফিটনেস ফিরে পেলেই মাঠে দেখা যেতে পারে তামিমকে। তবে এখনো এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি এই বোর্ড কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডে নতুন, পুরনো খেলোয়াড়েরা যুক্ত হচ্ছে। এখানে মুশফিক আসবে, লিটন আসবে, শোনা যাচ্ছে তামিম ইকবালও আসবে। ফিটনেসের ব্যাপার আছে। যদি সব ঠিক থাকে সেও ফিরে আসার চেষ্টা চিন্তা ভাবনা করছে হয়তো। আমি যতটুকু কথা শুনেছি, কিন্তু নিশ্চিত না।’
চোটের কারণে তামিম খেলেননি সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ও গত মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এর আগে পারিবারিক কারণে তামিম ছিলেন না নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও।
দীর্ঘ দিন ধরেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে সিরিজ খেলছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ সময় পরিবার ছেড়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা সব সময়ই কঠিন। মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েন অনেকেই। তাই ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদ থেকে দুরে রাখতে একই দল না খেলিয়ে রোটেশন পদ্বতিতে কিছু ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে বিসিবি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো সামনে খেলার সংখ্যা অনেক বেশি। পরিস্থিতিটা বেশ কঠিন। একটা সময় আসবে হয়তো রোটেশন করে খেলাতে হতে পারে। কেউ হয়তো বেশি সিরিজ খেলেছে তাকে বিশ্রাম দিয়ে অন্য কাউকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। চিন্তা ভাবনা থাকতে হবে। একদম একই স্কোয়াড দিয়ে প্রতিটা সিরিজ খেলাবেন এটা কিন্তু কঠিন। তাই হাতে খেলোয়াড় থাকা ভালো।’
তামিমের সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে দলে ফিরছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। গত দুই সিরিজে এই তিন ক্রিকেটার পরিবর্তে যারা খেলেছেন তাদের পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক ছিল। এটা স্বস্তি দিচ্ছে বিসিবিকেও। জালাল ইউনুস মনে করেন এটা সাহায্য করবে রোটেশন পদ্বতি কার্যকর করতেও।
তিনি বলেন, ‘যখন হাতে আপনার এমন কিছু খেলোয়াড় থাকে যারা জাতীয় দলে ঢুকবে, বা কিছু ম্যাচ খেলেছে, পাইপলাইনে থাকে, তারা পারফরম্যান্স করলে এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। এটা সবাইকে স্বস্তি দেয়। কোন কারণে মূল ক্রিকেটাররা চোটে পরলে বা রোটেশন করতে আপনি ব্যাকআপ পাবেন তাদের কাছে থেকে এটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা বড় সমর্থন।’