নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল হাসান সোহান এবং তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে উইকেটের পিছনে দেখা যাবে মুশফিকুর রহিমকে। আর শেষ ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়া হবে উইকেটের পিছনে দু’জনের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার পর।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম। তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে এই তিন সিরিজে উইকেটের পিছনে ও মিডল অর্ডারে আস্থান প্রতিদান দিয়েছেন সোহান। বিশেষ করে উইকেটের পিছনে সোহানের প্রাণবন্ত উপস্থিতি নজর কেড়েছে সবার।
কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজে নিয়মিত উইকেটরক্ষক মুশফিক ফেরায় প্রশ্ন উঠেছে এই সিরিজে উইকেটের পিছনে টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় আছেন কে? আজ (৩০ আগস্ট) সিরিজ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন তাঁরা প্রথম চার ম্যাচে দায়িত্ব দিতে চান দু’জনকেই। আর শেষ ম্যাচে দায়িত্ব দিবেন পারফরম্যান্স দেখে।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, সোহান আবারও উইকেটের পিছনে থাকবে। প্রথম দুই ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সিরিজে আমরা দায়িত্ব ভাগ করে দেবো। পরের দুই ম্যাচে মুশফিক থাকবে। দু’জনে দুই ম্যাচ করে সুযোগ পেলে পঞ্চম ম্যাচে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। তবে শুরুর দুই ম্যাচে সোহানই থাকবে।
আগের দুই সিরিজে পারিবারিক কারণে ছিলেন না লিটন দাস। লিটনের অনুপস্থিতিতে আগের দুই সিরিজে ইনিংস উদ্বেধন করেছেন সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’জন সফল হলেও দুই ওপেনার ব্যর্থ ছিলেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। দলে তৃতীয় ওপেনার না থাকাতে টানা ব্যর্থতার পরেও খেলে গেছেন দু’জনই।
এই সিরিজ দিয়ে ফিরছেন লিটন। লিটন ফেরাতে স্কোয়াডে ওপেনার এখন তিন জন। তাই আলোচনা চলছে ইনিংস উদ্বোধন করবেন কারা। তবে এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্বান্ত নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘন্টায় সিদ্বান্ত নেওয়া হবে একাদশ নিয়ে।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি মনে করি ওপেনিং নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং জুটির রেকর্ড হয়েছে। তাই আমি আপাদত কোন সমস্যা দেখছি না। লিটন দলে ফেরাতে এখন আমাদের তিন জন ওপেনার। এখনো ঠিক হয় নাই কারা ওপেন করবে। আলোচনা করে আগামী ২৪ ঘন্টায় ঠিক করা হবে একাদশ।
এই সিরিজ খেলতে গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে এসেছে নিউজিল্যান্ড। হোটেলে তিন দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর গত ২৭ তারিখ থেকে অনুশীলন শুরু করেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশও অনুশীলন শুরু করেছে একই দিন থেকে। সেপ্টেম্বরের এক তারিখ থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সেপ্টেম্বর সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর একই ভেন্যুতে তিন সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। এরপর হোম অফ ক্রিকেটেই পাঁচ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ম্যাচ, আট সেপ্টেম্বর চতুর্থ ম্যাচ ও দশ সেপ্টেম্বর সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সব গুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে বিকাল চারটা থেকে।
এই সিরিজের জন্য গত ৯ আগস্ট দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ও ১৯ আগস্ট দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পূর্ণ শক্তির দল ঘোষণা করলেও নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সফরে। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের কোন সদস্যই আসেনি বাংলাদেশ সফরে।
নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন সহ স্কোয়াডে নেই টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, মার্টিন গাপটিল, ডেভন কনওয়ে, জিমি নিশাম, কাইল জেমিসন, ম্যাট হেনরি, ইশ সোধি, মিচেল স্যান্টনার, লকি ফার্গুসনের মত তারকারা।