ওপেনারের জন্য হাহাকার

ক্রিকেটে ওপেনারদের পালন করতে হয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। দলকে ভালো শুরু এনে দেয়ার দায়িত্বটা পড়ে তাঁদের উপরেই। পাশাপাশি দ্রুত রান তোলারও একটা চাপ থাকে। তাঁরা দলের পরের ব্যাটসম্যানদের কাজ অনেকটা সহজ করে দেন। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনারদের চ্যালেঞ্জটা আরেকটু বেশি।

টেস্টের শুরুর সময়ে ব্যাটিং করাটা ভীষণ কঠিন। এই কাজটা নিয়মিত ভালো ভাবে করতে পারেন এমন ব্যাটসমন ক্রিকেটের ইতিহাসে খুব বেশি নয়। ফলে অনেক সময়ই দলগুলো টেস্টে তাঁদের সেরা ওপেনার খুঁজতে থাকে। ২০১০ সাল থেকে এই পর্যন্ত কয়েকটি টেস্ট দলই এই কাজ করছেন। চলুন দেখে আসি কে ক’জন ব্যাটসম্যানদের এই দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছে।

  • ভারত

এই তালিকার শেষ অবস্থানে আছে ভারত। ২০১০ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁরা ব্যহহার করেছে মোট ১৪ জন ওপেনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল আছেন ভারতের ওপেনিং এর দায়িত্বে।

তবে এর আগে মায়াঙ্ক আগারওয়াল, পৃথ্বী শ কিংবা শুভনম গিলরাও এই দায়িত্ব পালন করেছেন। হাতে এতগুলো অপশন থাকার পরেও নিজেদের সেরা ওপেং জুটি এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছে ভারত। তবে এই তালিকায় সবচেয়ে কম ওপেনার ব্যবহার করেছে ভারতই।

  • দক্ষিণ আফ্রিকা

এই তালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১০ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত মোট ১৫ জন ওপেনারকে ব্যবহার করেছে এই দলটি। এখন ডিন এলগার, কুইন্টন ডি ককরা ওপেনিং এর এই দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে হাশিম আমলাও দীর্ঘদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার হিসেবে ছিলেন। তবুও গত এক যুগে ১৫ জনকে এই জায়গায় ব্যবহার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

  • পাকিস্তান

ওপেনার ব্যবহারের হিসাবে পাকিস্তান ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকাকেও। ২০১০ সালের থেকে তাঁর মোট ১৬ জন ওপেনারকে ব্যবহার করেছে। ইমরান বাট ও আবিদ আলী আছেন এই মুহুর্তে দলটির ওপেনিং এর দায়িত্ব। এছাড়া আগে মোহম্মদ হাফিজ, আহমেদ শেহজাদরাও এই দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • অস্ট্রেলিয়া

এই সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও ব্যবহার করেছে পাকিস্তানের সমান ১৬ জন ওপেনার। গত কয়েকবছরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নিয়মিত ওপেনিং করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ওয়ার্নার মাঝে নিষিদ্ধ হলে অনেক ক্রিকেটারকেই এই সময় ব্যবহার করেছে টিম অস্ট্রেলিয়া। ফলে বোঝাই যাচ্ছে অজিদের মত বড় দলও তাঁদের সেরা ওপেনিং জুটি খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে।

  • শ্রীলঙ্কা

টেস্ট ক্রিকেটে অনেকদিন ধরেই ভুগছে শ্রীলঙ্কা। আসলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটই একটা বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একসময়ের দাপুটে দলটা এখন ক্রিকেট মাঠে রীতিমত বেঁচে থাকার লড়াই করে। তাঁর ফল দেখা যাচ্ছে তাঁদের ওপেনিং জুটিতেও। ২০১০ সালের পর থেকে তাঁরা ব্যবহার করেছে মোট ১৮ জন ওপেনার। ফলে এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দেশটি।

  • ইংল্যান্ড

এই তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার থেকেও ৫ জন ওপেনার বেশি ব্যবহার করে তাঁরা আছে তালিকার শীর্ষে। ২০১০ সাল থেকে ইংল্যান্ড ব্যবহার করেছে মোট ২৩ জন ওপেনারকে।

তাঁদের ওপেনিং জুটি নিয়ে বেশ বড় সমস্যাতেই আছে দলটি। জেসন রয়, ররি বার্নস, জো ডেনলি ছাড়াও আরো অনেক ক্রিকেটারকে দিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবুও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা আসল জুটির। তবে, সর্বশেষ হেডিংলি টেস্টে এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার সামান্য আভাস পাওয়া গেছে।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link