টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিং – দুই বিভাগেই অনুশীলন হল বাংলাদেশের। ব্যাটিং কিংবা বোলিং – কোনো বিভাগেই প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ। তবে, প্রতিপক্ষ ওমান ‘এ’ দল হলেও কিছু কিছু জায়গায় এখনও ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংটা এখনও বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা কম। সৌম্য সরকারও দুশ্চিন্তার কারণ।
ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে ওমান এ দলের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। নাইম শেখ ও লিটন দাশের ব্যাটে ওপেনিংয়েই সেঞ্চুরির জুটি গড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্তে লিটন দাশ ৩২ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এরপর দলীয় ১০২ রানে ৩৩ বলে ৫৩ রানে লিটন ফিরলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।
একপ্রান্তে উইকেটে টিকে থেকে ফিফটি তুলে নেন নাইম শেখও। তবে, এদিন দ্রুতই ফেরত যান সৌম্য সরকার। মাত্র ৮ বলে ৮ করে আউট হন সৌম্য। সৌম্যর পর গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমও! প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ফেরেন ২ বলে ৬ রানে। এরপর ৬ নম্বরে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। ৫৩ বলে ৬৩ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান নাইম শেখ। হাফ সেঞ্চুরি করলেও ওমানের বিপক্ষে তিনি মোটেও টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাট করেননি।
এরপর সোহান ও নতুন ব্যাটসম্যান শামিম পাটোয়ারী মিলে শুরু করেন ব্যাটিং তাণ্ডব। ৭ ছক্কায় সোহানের ১৫ বলে অপরাজিত ৪৯ ও শামিম পাটোয়ারীর ১০ বলে ১৯ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৯তম ওভারে টানা তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান সোহান!
জবাব দিতে নেমে ওমান ‘এ’ দলে ব্যাটসম্যানরা কখনোই যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়তে পারেননি। নয় উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে ওমান ‘এ’ দল। শোয়েব খানের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৪৩ রান। এর মধ্যে ছিল সাতটি চার। ১০ নম্বরে নামা রফিউল্লাহ ১৪ বলে করেন ৩১ রান, ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও একটি চার।
দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যথাক্রমে তিনটি ও দু’টি করে উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান ও আফিফ হোসেন একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ একাদশ : ২০৭/৪ (২০ ওভার)
নাইম ৬০ (রিটায়ার্ড হার্ট), লিটন ৫৩, সোহান ৪৯*(১৫), শামীম ১৯*(১০); আমির কলিম ৩৯/২, শ্রীভাস্তাভা ২৪/২
ওমান ‘এ’: ১৪৭/৯ (২০ ওভার)
শোয়েব ৪৩ (৩৯), রফিউল্লাহ ৩১ (১৪) মেহরান ১৯ (১০), রউফ ১৯ (১৪); শরিফুল ৩/৩০, সাইফউদ্দিন ২/১৭
ফলাফল: বাংলাদেশ ৬০ রানে জয়ী।