টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে মূল পর্বে পা দেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে, মাঠ নয় – মাঠের বাইরের ঘটনাতে এখন সরব দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। পাপুয়া নিউগিনিকে হারানোর পর ম্যাচ পরবর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ জানান তাঁদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদেরকে খাটো করা হয়েছে।
কথাগুলো যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ইঙ্গিত করে বলেছেন সেটা সবাই নিশ্চিত। কারণ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর বিসিবি বস ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন মিডিয়ায়। দলের পরিকল্পনা এবং অ্যাপ্রোচ কোনোটিই ভালো হয়নি বলেও জানান তিনি। রিয়াদের এমন কথার প্রেক্ষিপেই গতকাল (শুক্রবার) এক সাক্ষাৎকারে পাপন অধিনায়ক জানালেন তিনি কখনোই খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলেননি, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন পরিকল্পনা ও অ্যাপ্রোচ নিয়ে।
পাপন বলেন, ‘আমি দুইটা জিনিস সেখানে পাইনি। যেমন সে বলেছে তাদের খারাপ লাগে যখন কেউ তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে। আমি মনে করিনা কেউ তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমি একবারও কমিটমেন্ট নিয়ে কিছুই বলিনি। দ্বিতীয়ত সে বলেছে আমি তাদেরকে ছোট করেছি কিন্তু আমি মনে করি এটা স্রেফ আবেগের বহি:প্রকাশ। আমি এখনো আমার জায়গায় অনঢ় থাকবো যে প্রথম ম্যাচে আমি তাদের অ্যাপ্রোচ, পরিকল্পনা নিয়ে খুশি ছিলাম না।’
এর আগে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর রিয়াদ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা খারাপ খেললে সমালোচনা হবেই কিন্তু আমাদেরকে ছোট করলে সেটা আমাদের খারাপ লাগে।’
বিসিবি সভাপতি মনে করেন কোনো কথা কিংবা সমালোচনা ব্যক্তিগত ভাবে নেওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটারদের মতো বাংলাদেশের সমর্থকরা কিংবা ক্রিকেটের সাথে যারা যুক্ত আছে তারাও মানুষ। এমনকি তিনি বা দেশের মানুষ যাই বলেছেন সেটা দলের ভালোর জন্যই। পাপন বলেন, ‘আমি মনে করি সে (মাহমুদউল্লাহ) এবং বাকি খেলোয়াড়দের এটা বুঝতে হবে তারা একদিকে যেমন মানুষ তেমনি তাদের সমর্থকরাও তো মানুষই! এখানে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার কিছু নাই কারণ আমরা যাই বলেছি সেটা দলের ভালোর জন্যই ছিলো এবং দেশের কেউই তাদের বিপক্ষে নয়।’
বর্তমানে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক রয়েছে। ভবিষ্যতে অধিনায়ক পরিবর্তন আসতে পারে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তবে কোন ফরম্যাটে আসবে সেটা খোলাসা করতে চাননি বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে অধিনায়কত্ব পরিবর্তন নিয়ে ভাবছি না কিন্তু সিস্টেমের মধ্যে সবকিছুই একটা পরিবর্তন আসে এবং আসবে। এবং সেখানে হয়তো অধিনায়কের পরিবর্তন আসবে তবে আপাতত বলতে চাচ্ছিনা সেটা কোন ফরম্যাটে।’
এদিকে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সাথে আরো দুই বছর চুক্তি বর্ধিত করতে যাচ্ছে বিসিবি। আগের চুক্তি অনুযায়ী চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই শেষ হবার কথা ডমিঙ্গোর মেয়াদ। তবে বিসিবি সভাপতি জানালেন নতুন করে দুই বছর চুক্তি বাড়াবে বিসিবি। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করেছি কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সাথে আরো দুই বছর চুক্তি বাড়াবো।’