টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ বড় স্বপ্ন নিয়েই এসেছিল বিরাট কোহলিরা। স্বপ্নটা ভারতের এখনো বড়ই আছে নিশ্চই। তবে আসরের শুরুতেই একটা বড় হোচট খেয়েছে ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে একেবারে দশ উইকেটে হেরেছে ভারত। ভারতের বোলাররা নূন্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারেননি। পাকিস্তানের একটি উইকেটও তুলে নিতে পারেননি কোন বোলার।
সংযুক্তর আরব আমিরাতের উইকেটে সেদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই স্পিনার নিয়ে খেলেছিল ভারত। তবে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার মনে করেন ভারতের বোলিং লাইন আপে উইকেট টেকিং স্পিনার প্রয়োজন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কোন স্পিনারই উইকেট নিতে পারেননি। সেদিন ভারতের হয়ে খেলেছিলেন বরুণ চক্রবর্তী ও রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁরা দুইজন মিলে আট ওভারে দিয়েছিলেন ৬১ রান।
এছাড়া ভারতের স্কোয়াডে আরো দুইজন স্পিনার আছে। লম্বা সময় পরে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। মূলত ওয়াশিংটন সুন্দরের ইনজুরির কারণেই জায়গা হয়েছিল তাঁর। এছাড়া যুজবেন্দ্র চাহালের বদলে দলে নেয়া হয়েছে রাহুল চাহারকে।
ওদিকে মাঞ্জরেকার মনে করেন ব্যাটসম্যানদের আঁটকে রাখার চেয়ে উইকেট নিতে পারবেন এমন স্পিনার বেশি দরকার ভারতের। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভারতের উইকেট টেকিং স্পিনার প্রয়োজন। যেকোন স্পিনার যে কিনা ইকোনমির দিকে নজর না দিয়ে উইকেট এনে দেয়ার জন্য বল করবে। আমি এমন একজনকেই দলে দেখতে চাই।’
ওদিকে সুপার টুয়েলভকে সামনে রেখে বিরাট কোহলি অবশ্য তাঁর স্পিনারদের উপর আস্থা রেখেই কথা বলেছিলেন। অশ্বিনকে নিয়ে তিনি বলেন,’ আপনি যদি শেষ কয়েকটা আইপিএল দেখেন তাহলে দেখবে অশ্বিন সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করেছে। সে ঠিক জায়গায় বল করে গেছে। সে নিজের স্কিলের উপর ভরসা রাখে।‘
এছাড়া চাহারের বোলিং নিয়েও প্রশ্ংসা করেন তিনি। তাঁর স্ট্যাম্পে বোলিং করার অ্যাবিলিটি ও পেসের ভ্যারিয়েশেন তাঁকে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন কোহলি। কোহলি চাহারকে নিয়ে বলেন, ‘আমরা মনে করি পিচ গুলো আস্তে আস্তে আরো স্লো হয়ে আসবে। ফলে বলে গতি আছে এমন বোলার ব্যাটসম্যানদের ভোগাবে। লেগ স্পিনার হিসেবে এটা ব্যবহার করার ক্ষমতা তাঁর আছে। আর বিশ্বকাপ দলে তো সবাইকে জায়গা দেয়া সম্ভব না।’
সব মিলিয়ে কোহলি তাঁর স্পিনারদের উপরই ভরসা রাখছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচটা ভারতের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। স্পিনারদেরও উপরও এই ম্যাচে থাকবে বড় দায়িত্ব। কোহলির স্পিনাররা নিশ্চই উত্তরটা মাঠেই দিতে চাইবেন।