বিশ্বকাপ ব্যর্থতা: বিসিবির ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি নিয়োগ

সেমিফাইনালে খেলার প্রত্যাশা নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশে ভরাডুবি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কোয়ালিফাইং পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হার মূল পর্বে খেলতে না পারার শঙ্কা এবং পরবর্তীতে মূল পর্বে নাজেহাল অবস্থা এসব কিছুই ঘটেছে গত এক মাসে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে, মোট কথা দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে।

কিন্তু কেন এমন হল? পেছনের ঘটনা কি? কেনই বা একটা দল সেমফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে খেলতে গিয়ে জিততে পারেনি অন্তত একটি ম্যাচ? – এসব কিছু খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গঠন করেছেন একটি দুই সদস্য বিশিষ্ট রিভিউ কমিটি, মানে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি। বিসিবির বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস এবং এনায়েত হোসেন রয়েছেন এই কমিটির সদস্য হিসেবে। তাঁদেরকে কাজ করবার পূর্ণ শক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে রিভিউ কমিটির সদস্য ও বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, ‘এটা আসলে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি। আমাদের আসলে এত বাজে পারফর্ম করার কথা ছিলনা। বিশ্বকাপে অংশ নিতে দলের সাথে যাওয়া বোর্ড কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের সাথে আমরা খোলামেলা আলোচনা করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো আমাদের আসলে কি ঘটেছিল। এমনকি আমরা মিডিয়ার সাথেও কথা বলবো।’

বিশ্বকাপের এমন ভরাডুবির পর নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি কর্তারা। টুর্নামেন্ট পরবর্তী সময়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন তার সহকর্মীদের সাথে। এর পাশাপাশি তিনি কথা বলেছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, প্রধান কোচ রাসেল ডমিংগো ও তামিম ইকবালের সাথে।

বিসিবি কর্তৃক আরেক বোর্ড পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়া এবং বাংলাদেশের নন্দীত কোচদের একজন মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে জাতীয় দলের সহকারী কোচ বানানোর গুঞ্জনের পর এই রিভিউ কমিটির ঘোষণা এলো।

রিভিউ কমিটির কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জালাল ইউনুস আরো বলেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করবো। যদিও আমাদের রিপোর্ট দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। আমরা আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতিতে কোন ব্যাঘাত ঘটাতে চাই না। আমরা কোচের রিপোর্টকে বিবেচনায় রেখে তাদের সাথে মৌখিক আলোচনাও করবো।’

আগামী ১৩ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প শুরু হবে। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর। তিনটি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ২৬ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে চার ডিসেম্বর, মিরপুরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link