যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে বাংলাদেশ ও ভারতে। মানে আজ থেকে ১০ বছর পরের ঘটনা। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই খবর নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এর আগে ২০১১ সালে ক্রিকেটের এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের আসর বসেছিল উপমহাদেশে। সেবার বাংলাদেশের সাথে যৌথ আয়োজক ছিল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এরপর ২০১৪ সালে একক ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এরও আগে ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মত কোনো আইসিসি ইভেন্টের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশে বসে আইসিসি নক আউট টুর্নামেন্ট (বর্তমান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি)।
আইসিসি ২০২৪ থেকে ২০৩১ – এই সাত বছরের ভবিষ্যৎ আইসিসি ইভেন্টের সূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ বিশ্বকাপের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেই বিশ্বকপের আয়োজক হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হল শ্রীলঙ্কা ও ভারত, যৌথ ভাবে। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে পাকিস্তানে।
আইসিসি জানিয়েছে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে তিনটি আফ্রিকান দেশে। তাঁরা হল দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০০৩ সালে যৌথ ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া।
এরপর ২০২৮ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এর ১২ মাস পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ভারতে। ২০৩০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে, সাথে আছে ইংল্যান্ডও। এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৯ সালের পর আবারও আইসিসির বড় কোনো ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পাচ্ছে স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড – এই দুই দেশ।