বিষয়টা শুরু হয়েছিলো মুশফিককে জাতীয় টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ দেওয়া থেকে।
প্রধাণ নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছিলেন, মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। কিন্তু মুশফিক একাধিক সাক্ষাতকারে দাবি করেন যে, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়নি, বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, বিশ্রাম দিলে তার সাথে আলাপ করা হতো; সেটা এ ক্ষেত্রে করা হয়নি।
এই সাক্ষাতকারের পর আজই খবর প্রকাশ পায় যে, সাবেক এই অধিনায়ককে ‘কারন দর্শাও’ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ দেওয়ার ব্যাপারটা অবশ্য স্বীকার করেনি বিসিবি। এটা ঠিক যে, বোর্ডের কোনো একটা ডাক পেয়েই আজ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছিলেন মুশফিক। আর বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান বললেন, তার সাথে আলোচনায় ভুলবোঝাবুঝির ব্যাপারটার অবসান হয়েছে।
আকরাম খান বললেন, নির্বাচকদের কথা বোঝা নিয়ে মুশফিকের একটা দূরত্ব তৈরী হয়েছিলো। সেটা নিয়েই তাকে কথা বলতে ডাকা হয়েছিলো, ‘এটা আসলে একটা ভুল বোঝাবুঝি। ওর সাথে একটা গ্যাপ হয়েছিলো। ও ভুল বুঝেছিলো। সেটা ওকে বোঝানো হয়েছে। সে এখন বুঝতে পেরেছে। আসলে আমাদের দুটো দিকই দেখতে হবে। একটা সিরিজ চলছে। এর মাঝে এই ধরণের কথাবার্তা ঠিক না। কারণ, দলের পারফরম্যান্স আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আবার মুশফিক গুরুত্বপূর্ন খেলোয়াড়। তার দিকটাও ভাবতে হবে।’
আপাতত মুশফিক বোর্ডের কথায় সন্তুষ্ট হয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, তিনি বোর্ডের সাথে কথা বলার পরই চট্টগ্রাম রওনা হয়ে গেছেন। সেখানেই টেস্ট স্পেশালিস্ট খেলোয়াড়রা অনুশীলন করছেন।
মুশফিক গত দু দিন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বেশ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। আকরাম বললেন, তাকে এ ধরণের প্রশ্ন তৈরী হলে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা ও আলোচনা করার জন্য বলা হয়েছে। আকরাম খান বলছিলেন, ‘কোনো সেন্সরশিপের কথা আসছে না। আমরা তাকে বলেছি, এরকম হলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে। প্রশ্ন তৈরী হলে সেটার সমাধাণ নিজেরাই করা সম্ভব।’