সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখেছে দেশের ক্রিকেটভক্তরা। শেষ ম্যাচটা শেষ ওভারের শেষ বল অবধি গড়ালেও শেষ রক্ষা হল না।
১২৫ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে আসে ৩২ রান। এরপর দলীয় ৩২ রানে ব্যক্তিগত ১৯ রানে আমিনুল বিপ্লবের শিকার হয়ে ফিরেন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। এরপর বাংলাদেশী বোলারদের আর সুযোগই দেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান, হায়দার আলীরা। দু’জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং জয়ের ভীত গড়ে দেয় পাকিস্তানকে। দলীয় ৮৩ রানে ৪৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রানে আউট হন রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৪৯ বলে ৫১ রানের জুটি।
এরপর বাকি পথটা সহজে পাড়ি দেয় পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদ ও হায়দার আলীর ব্যাটে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছিলো পাকিস্তান। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিলো ৮ রান। বোলিংয়ে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বল ডটের পর দ্বিতীয় বলেই সরফরাজ আহমেদকে ফিরান রিয়াদ।
পরের বলেই আউট হায়দার আলীও! টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে পাকিস্তান। শেষ ৩ বলে দরকার ছিলো ৮ রানের। চতুর্থ বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে আবার ম্যাচে ফেরান ইফতিকার আহমেদ। পঞ্চম বলে আবারো উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট ইফতিকার!
শেষ বলে দরকার ছিলো ২ রানের! রিয়াদের বল ডাউন দ্যা উইকেটে এসে কভারের উপর দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন নওয়াজ!
টসে জিতে এদিনও ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে শুরুতেই সেই বেহাল দশা। দ্বিতীয় ওভারেই আউট নাজমুল শান্ত। এরপর শামিম পাটোয়ারী ও নাইম শেখের ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে ৩০ রানের জুটির পথে শামিম ফিরেন ২৩ বলে ২২ রানে। আফিফ হোসেনকে নিয়ে এরপর লম্বা পথ পাড়ি দেন নাইম। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৪২ বলে ৪৩ রানের জুটি। মূলত নাইমের কচ্ছপ গতির ইনিংসে রানের চাকা ছিলো মন্থর গতিতে।
আরেকপ্রান্তেও কেউই তুলতে পারেননি দ্রুত রান। দলীয় ৮০ রানে ব্যক্তিগত ২০ রানে উসমান কাদিরের শিকার হয়ে ফিরেন আফিফ। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে জুটি গড়ে ভালো ফিনিশিংয়ে প্রচেষ্টা করলেও সফল হননি নাইম। পঞ্চম উইকেটে ধীর গতির ৩১ রানের জুটি শেষে ইনিংসের ১৮ তম ওভারে ৫০ বলে ৪৭ রানের মন্থর এক ইনিংস শেষে আউট হন আফিফ! এরপর রিয়াদ-সোহানরাও ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ব্যর্থতার চাঁদর ছেড়ে বের হতে পারেননি রিয়াদ। শেষ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে মাত্র ১৩ রান।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে উসমান কাদির ও মোহাম্মদ ওয়াসিমরা শিকার করেন দু’টি করে উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ – ১২৪/৭ (২০ ওভার); নাইম ৪৭(৫০), শামিম ২২(২৩), আফিফ ২০(২১); ওয়াসিম ৪-০-১৫-২, কাদির ৪-০-৩৫-২ ধানি ৩-০-২৪-১, রউফ ৪-০-৩২-১।
পাকিস্তান – ১২৭/৫ (২০ ওভার); হায়দার ৪৩(৩৬), রিজওয়ান ৪০(৪৩), বাবর ১৯(২৫); রিয়াদ ১-০-১০-৩, বিপ্লব ৪-০-২৬-১, শহিদুল ৩.৫-০-৩৩-১, মেহেদী ৪-০-১৯-০, নাসুম ৪-০-২০-০।
ফলাফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।