মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিয়ে প্রায়ই এরকম কথা শোনা যায়। সর্বশেষ এখানে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দল টি-টোয়েন্টিতে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর আলোচনা শুরু হয়। এরপর গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স সেই আলোচনার আগুনে নতুন করে ঘিঁ ঢেলেছে।
সর্বশেষ এই মাঠেই অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। সেখানে অবশ্য আগের চেয়ে তুলনামূলক কম স্লো উইকেটেই খেলা হয়েছে। যদিও, এই উইকেটেও নারাজ অনেকে। সেই তালিকায় আছেন দুই সাবেক পাকিস্তানি গ্রেট শোয়েব আখতার ও শহীদ আফ্রিদি।
এর মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব আখতার কড়া ভাষায় সমালোচনা করে দাবি করেন, এই উইকেটে খেলে উন্নতি করা সম্ভব নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এমন উইকেটে খেলে কোনো লাভ হবে না। বাউন্সি উইকেটে না খেললে ব্যাটিং বা বোলিং – কোনোটাতেই কোনো উন্নতি আসবে না। কেবল স্পিন দিয়ে কতদিন জিততে চায় বাংলাদেশ? বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশকে খুবই প্রয়োজন। তাদের উচিত উইকেট, ক্রিকেট অবকাঠামো, সবকিছুতেই বদল আনা। তাহলেই উন্নতি আসবে।’
শোয়েব আখতারের সতীর্থ শহীদ আফ্রিদিও মনে করেন এরকম উইকেটে খেলাটা বাংলাদেশের জন্য বিপদ বয়ে নিয়ে আসছে। তিনি এক টুইটে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে। ওরা কি ঘরের মাঠে জিতে বাইরের কন্ডিশন কিংবা বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করতে চায়? আমি মনে করি, ওদের দারুণ প্রতিভাবান কিছু খেলোয়াড় আছে। খেলাটার প্রতি ভালোবাসাও আছে। কিন্তু, যদি উন্নতি করতে হয় তাহলে তাঁদের ভালো পিচে খেলাটা ভীষণ জরুরী
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়। সুপার টুয়েলভের টিকেট বাংলাদেশ কোনোক্রমে পেলেও সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। সুপার টুয়েলভের সবগুলো ম্যাচই হারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সেই প্রসঙ্গে শোয়েব আখতার বলেন, ‘বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রতিটি ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ। এটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমি তো তাঁদের বিশ্বকাপের দাবিদারই মনে করেছি। এমনকি আমার মতে, পরের বিশ্বকাপেরও দাবিদার তাঁরা। বিশ্বকাপে তারা যেভাবে খেলেছে, এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩–০–তে হেরেছে, এতে আমি কষ্ট পেয়েছি। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিচের দিকেই নামতে দেখছি। এটা মোটেও ভালো কিছু নয়।’
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুভাকাঙ্খী শোয়েব আখতার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সামনে এগোতে দেখতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দারুণ একটি দেশ, সে দেশের মানুষও দারুণ। বাংলাদেশের মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে। বাংলাদেশে গেলে অনেক সমাদর পাই, তারা অনেক সময় দিয়ে আদর-আপ্যায়ন করে। তবে এভাবে তারা ক্রিকেটে সামনে এগোতে পারবে না।’