তাঁর ছিল চিতার ন্যায় ক্ষিপ্রতা, দৌড়বিদের মত স্ট্যামিনা আর অ্যাথলেটিসিজম। গতি আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চোখের পলকে বোকা বানাতে পারতেন প্রতিপক্ষকে। অসাধারণ ড্রিবলিং, বল নিয়ন্ত্রণ, ভারসাম্য এবং ফার্স্ট টাচ, জোরালো শট, নিখুঁত ফিনিশিং — সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন একজন জাত গোল শিকারি। সর্বকালের সেরা ফুটবলারের ছোট্ট তালিকাতেও তাঁর নামটা ওপরের দিকেই থাকবে। অদম্য মেধাবী এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে সতীর্থরা ডাকতেন ‘দ্য ব্ল্যাক প্যান্থার’ নামে। বলছিলাম গত শতাব্দীর অন্যতম সেরা ফুটবল প্রতিভা পর্তুগীজ কিংবদন্তি ইউসেবিওর কথা।
পুরো নাম ইউসেবিও দা সিলভা ফেরেইরা। জন্ম ১৯৪২ সালের ২৫ জানুয়ারি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ মোজাম্বিকের মাপুতোয়। রেলশ্রমিক অ্যাঙ্গোলিয়ান বাবা লরিন্ডো আর মোজাম্বিকান মা এলিসার চতুর্থ সন্তান ইউসেবিওর জন্ম হয়েছিল আফ্রিকার চিরায়ত দারিদ্র্যের অভিশাপকে সঙ্গী করে। তবে সৃষ্টিকর্তা ঠিকই তাঁর পায়ে দিয়ে পাঠিয়েছিলেন জাদুকরি ফুটবল প্রতিভা। অসামান্য সেই প্রতিভা আর স্কিলের জাদু দিয়েই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন গোটা পৃথিবীকে।
মাত্র আট বছর বয়সে বাবাকে হারানো ইউসেবিওর ছেলেবেলা থেকেই ছিল ফুটবলের প্রতি প্রচন্ড নেশা। প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে মেতে উঠতেন ফুটবল-আনন্দে। বুট তো দূরের কথা, বল পর্যন্ত ছিল না। খবরের কাগজ আর ছেঁড়া মোজা দিয়ে বল বানিয়ে ফুটবল খেলতেন। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে খেলতে খেলতেই তাঁর প্রতিভার কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইউসেবিও সুযোগ পেয়ে যান মোজাম্বিকের স্থানীয় ক্লাব ‘স্পোর্টিং দ্য লরেন্সো মারকেজ’ এর যুবদলের হয়ে খেলার। সেখান থেকে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে নজর কাড়তেও খুব বেশি সময় নেননি। দুই মৌসুম মিলিয়ে গোল করেন ৭৭টি, মাত্র ৪২ ম্যাচ খেলে! ওখানে থাকতেই নাকি ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস তাঁকে কিনতে চেয়েছিল। তবে ইউসেবিওর মায়ের আপত্তি থাকায় শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয় নি।
ইউসেবিওর বয়স যখন ১৮, তখন হঠাৎ একদিন নজরে পড়ে যান সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হোসে কার্লোস বাওয়ারের। কৈশোরে ইউসেবিও ছিলেন সেরা স্প্রিন্টার। ইউসেবিওর দ্রুততার কাছে পাত্তাই পেতেন না প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। ওইটুকু ছেলের গতি, ডান পায়ের জোরালো শট, চোখ ধাঁধানো ড্রিবলিং আর বল নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা দেখে বাওয়ার ছিলেন যারপরনাই মুগ্ধ।
ইউসেবিওকে নিজ দেশের ক্লাব সাও পাওলোতে নিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তিনি। তবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির কাছ থেকে তেমন সাড়া না পেয়ে ইউসেবিওকে তিনি ট্রায়াল দিতে নিয়ে যান পর্তুগালের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বেনফিকায়। বাওয়ারের এক সময়ের কোচ বেলা গাটম্যান তখন বেনফিকার দায়িত্বে। প্রথম দিনের ট্রায়ালে ইউসেবিওকে দেখে গাটম্যান নাকি তাঁর সহকারীকে বলেছিলেন, ‘এ তো সোনার টুকরা ছেলে!’
তবে ইউসেবিওর দলবদলের বিষয়টি নিয়ে সে সময় কম জল ঘোলা হয় নি। বিস্ময়বালক ইউসেবিওকে পেতে মরিয়া ছিল পর্তুগালের আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনও। বিনা ট্রায়ালে তাঁকে দলে নিতে রাজী হয়েছিল ক্লাবটি। এদিকে বেনফিকা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ইউসেবিওর ফ্যামিলির সাথে কথা বলে বার্ষিক ২০০০ ইউরোর বিনিময়ে আগেভাগেই চুক্তি সেরে ফেলে। শোনা যায়, ইউসেবিওকে না পেয়ে হতাশ স্পোর্টিং লিসবন নাকি তাকে কিডন্যাপের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল!
১৯৬১ সালে বেনফিকার হয়ে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে নিজের জাত চেনান ইউসেবিও। সেই থেকে শুরু। আর কখনো পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি তাঁকে।
পেলের সান্তোসের বিপক্ষে একবার প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইউসেবিওর বেনফিকা। ইউসেবিও অবশ্য মূল একাদশে ছিলেন না। এদিকে প্রথমার্ধ শেষে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছে বেনফিকা। উপায়ান্তর না দেখে ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় ইউসেবিওকে নামিয়ে দেন গাটম্যান। বদলি হিসেবে নেমে ৬৩ থেকে ৮০ — মাত্র ১৭ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি। বেনফিকা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৬-৩ ব্যবধানে হারলেও নিজের প্রতিভা দিয়ে ঠিকই সবার নজর কেড়েছিলেন ১৮ বছরের টিনএজ ইউসেবিও। পরদিনই তাঁর ছবি ছাপা হয় বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিন লে’কিপ এর প্রচ্ছদে।
পরের মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে পুসকাস-ডি স্টেফানোর ইতিহাস বিখ্যাত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই গোল করে দলের শিরোপা জয়ের নায়ক ছিলেন ইউসেবিও। পুসকাসের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক সত্ত্বেও ‘ইউসেবিও জাদু’তে বেনফিকা জিতেছিল ৫-৩ গোলে।
ক্লাব ফুটবলে তাঁর যত অর্জন সব বেনফিকার হয়েই। ফুটবল জীবনের ১৫টা বছর কাটিয়েছেন সেখানে। এই ১৫ বছরে তিনি বেনফিকার হয়ে জিতেছেন ১১টি লিগ, ৫টি পর্তুগিজ কাপ এবং ৯টি লিসবন কাপের শিরোপা। দলকে ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমান উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ) ফাইনালে তুলেছেন ৪ বার। পর্তুগিজ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন ৭ বার; দুবার জিতেছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের পুরস্কার। ১৯৬৫ সালে ইতিহাসের প্রথম পর্তুগিজ ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর, এর আগে ও পরে দুবার পেয়েছেন ইউরোপিয়ান বর্ষসেরা রানার আপ ট্রফি।
বেনফিকার জার্সি গায়ে ৪৪০ ম্যাচে করেছেন ৪৭৩ গোল! ষাটের দশকে খেললেও ম্যাচপ্রতি গোলের অনুপাত ছিল ১ এরও বেশি!
৬০-৭০ দশকে বেনফিকা ক্লাবে ইউসেবিওর প্রভাব ঠিক কতখানি ছিল সেটা বোঝাতে গিয়ে তাঁর এক সময়ের সতীর্থ আন্তনিও সিমোস বলেছেন, ‘ওকে ছাড়া আমরা বড়জোর লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম, ইউরোপ সেরা হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
ক্লাবের হয়ে এত এত কীর্তির বাইরে জাতীয় দলের হয়েও ইউসেবিও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ১৯৬৬ সালে তিনিই প্রথম পর্তুগালকে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করিয়েছিলেন; এমন একটা সময় যখন নাকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্তুগাল ছিল নিতান্তই মাঝারি মানের দল।
পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জনটাও (২০১৬ সালে ইউরো জেতার আগপর্যন্ত) এসেছে ইউসেবিওর হাত ধরেই। ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রায় একক নৈপুণ্যে পর্তুগাল দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন শেষ চারে।
সেবারের আসরে পর্তুগাল পড়েছিল হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া আর ব্রাজিলের সাথে গ্রুপ অব ডেথে। সেখান থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন (৩ ম্যাচের ৩টিতেই জয়) হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে পর্তুগিজরা।
কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল মুখোমুখি হয় উত্তর কোরিয়ার। চিলি আর ইতালিকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠা উত্তর কোরিয়াকে বলা হচ্ছিল আসরের ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’। ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল এশিয়ার দলটাই। কিন্তু এরপর যা ঘটেছিল তা যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।
ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল পর্তুগিজরা; ‘কালো চিতা’ ইউসেবিওর হাত ধরে। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে তিন গোল করা ইউসেবিও যে তাঁর সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন নক আউট রাউন্ডের জন্য! পর্তুগাল শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতে ৫-৩ গোলে। ৫ গোলের প্রথম ৪টিই করেন ইউসেবিও; মাত্র ৩২ মিনিটের ব্যবধানে! এমনকি উত্তর কোরিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়া ৫ম গোলটিরও উৎস ছিলেন তিনি।
সে ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার অধিনায়ক ছিলেন পার্ক সিউং-জিন। ২০১১ সালে মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না পেলে, গারিঞ্চাদের পক্ষেও এমন কিছু করা সম্ভব ছিল। ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী এক অতিমানবের কাছে হারতে হয়েছিল আমাদের।’
একটা মজার তথ্য জানিয়ে রাখি, পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়ার সেই ‘কালজয়ী’ ম্যাচটি সেদিন স্টেডিয়ামে বসেই উপভোগ করেন কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী। ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ইউসেবিওকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এত সুন্দর ম্যাচ আমি সম্ভবত এর আগে কখনো দেখিনি। ভবিষ্যতেও এরকম ম্যাচ দেখা যাবে কিনা সন্দেহ! ইউসেবিও, আপনি একজন সত্যিকারের হিরো।’
সেমিফাইনালে পর্তুগাল মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের। ববি চার্লটনের জোড়া গোলে ইংলিশরা জিতেছিল ২-১ গোলে। পর্তুগালের হয়ে সান্ত্বনাসূচক একমাত্র গোলটি করেছিলেন ইউসেবিও।
সেদিন ম্যাচ জুড়ে কড়া পাহারায় রাখা হয়েছিল ইউসেবিওকে। তবে ম্যাচের ৮২ মিনিটে সুযোগ বুঝে ঠিকই এক গোল আদায় করে নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সেই গোলের আগ পর্যন্ত টানা ৪৪১ মিনিট ইংল্যান্ড কোনো গোল হজম করেনি। গোলের পর তাই ইংলিশ গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাঙ্কসকে মাঠেই শ্রদ্ধাসূচক স্যালুট ঠুকে দিয়েছিলেন ইউসেবিও।
সেমিফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় সেদিন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন ইউসেবিও। তবে কান্নাভেজা সেই বিশ্বকাপেও ৯ গোল করে ঠিকই জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট। দেশ না পারলেও খেলোয়াড় ইউসেবিও তো পেরেছিলেন! শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয় পর্তুগাল, যা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পর্তুগালের সেরা অর্জন।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হলেও পর্তুগাল বনাম সোভিয়েত ইউনিয়নের খেলাটি ছিল আসরের অন্যতম আকর্ষণ। ইউসেবিও বনাম লেভ ইয়াশিন! ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ভার্সেস ‘ব্ল্যাক স্পাইডার’! ম্যাচের ১২ মিনিটেই দারুণ লক্ষ্যভেদী এক শটে লেভ ইয়াশিনকে পরাস্ত করেন ইউসেবিও। গোলের পর ব্যাঙ্কসের মত ইয়াশিনকেও স্যালুট ঠুকেছিলেন তিনি। ফুটবল মাঠে স্পোর্টসম্যানশিপের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে ম্যাচটি।
’৬৬ বিশ্বকাপের পর ইউসেবিওকে দলে নেয়ার জন্য রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল বিশ্বের নামীদামী সব ক্লাব। কিন্তু ইউসেবিও বেনফিকা ছাড়তে চান নি কিছুতেই।
জন্মগতভাবে আফ্রিকান হওয়ায় ইউসেবিওকে গণ্য করা হয় সর্বকালের সেরা আফ্রিকান ফুটবলার হিসেবে। অনেকে তাঁকে বলে থাকেন ‘পর্তুগালের পেলে’। পেলের মত তিনিও যে ক্যারিয়ার জুড়ে বইয়ে দিয়েছেন গোলের বন্যা! ক্লাব পর্যায়ে ৭৪৫টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৭৩৩ গোল।
১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর ইউসেবিওর পায়ের জাদু দেখে অনেক ফুটবলবোদ্ধা দাবি করে বসেছিলেন ব্রাজিলের পেলের চাইতে নাকি দক্ষ এবং চৌকষ ফরোয়ার্ড ইউসেবিও!
ইউসেবিওর পর পর্তুগালের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন লুইস ফিগো, রুই কস্তার মত কিংবদন্তিরাও। কিংবা বর্তমান সময়ের তারকা ফুটবলার, পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কথাই ধরুন। কিন্তু ফুটবলের ইতিহাসে ইউসেবিও একজনই।
অনেক দিন ধরেই পর্তুগালের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটাও ছিল ইউসেবিওর দখলে। পর্তুগালের জার্সি গায়ে তিনি ৪১ গোল করেছেন মাত্র ৬৪ ম্যাচে। যেখানে ইউসেবিওর রেকর্ডটি ভাঙতে পর্তুগালের ইতিহাসের শীর্ষ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে খেলতে হয়েছে ১০৬ ম্যাচ!
প্রাপ্তির খাতায় অনেক কিছুই আছে। কেবল বিশ্বকাপটাই জিততে পারেননি। কারও কারও মতে, বিশ্বকাপ জিতলে হয়তো পেলে-ম্যারাডোনার কাতারেই থাকতেন ইউসেবিও। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানো তো বলেই দিয়েছেন, ‘ইউসেবিও যতটা বড় মাপের খেলোয়াড়, মানুষ হিসেবে ছিল তার চাইতেও বড়। আমার কাছে তাই ইউসেবিওই সর্বকালের সেরা।’