শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের সেরা দল গুছিয়ে নিয়েছে। এবারের আসরে প্রতিটি দলের শক্তিমত্তা নিয়ে যেমন ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে – দূর্বলতা নিয়ে সেই তুলনায় আলোচনা কম বললেই চলে। খেলা ৭১-এর এবারের আলোচনা সেই দুর্বলতা নিয়ে।
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া পেস বিভাগে বড় কোনো নাম নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। ব্যাটিং ও স্পিন বিভাগে বেশ শক্তিমত্তা থাকলে এই দলের পেস বিভাগ অনেকটাই সর্বশক্তির। মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কুমিল্লার পেস আক্রমণে আছেন আবু হায়দার রনি, সুমন খান ও শহিদুল ইসলাম। এছাড়া বিদেশি কোটায় আছেন করিম জানাত ও ওশানে থমাস। পেস বিভাগে কুমিল্লা তাই তাকিয়ে থাকবে মুস্তাফিজের দিকেই।
- চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
তারুণ্য নির্ভর চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে বড় কোনো তারকা ক্রিকেটারই নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বড় বড় নামের কাউকেই দলে ভেড়াতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এই দলের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হচ্ছে অভিজ্ঞতা। তরুণদের নিয়ে গড়া দলটিতে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই বললেই চলে। কঠিন মূহুর্তে দলকে কিভাবে নেতৃত্ব দিবেন অনূর্ধ্ব – ১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলি সেটিই দেখার বিষয়।
- ফরচুন বরিশাল
অনেক বড় বড় তারকা ক্রিকেটারদের দলে নিলেও এই দলটির সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হলো টপ অর্ডারে ব্যাটা হাতে গেইল, শান্ত, সাকিবদের ফর্ম। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে চাপটা পড়বে মিডল অর্ডারে তৌহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, ব্রাভোদের উপর। গেইল, শান্ত, সাকিবরা ব্যাট হাতে সেরাটা দিতে না পারলে তাই বিপাকে পড়বে বরিশাল।
- সিলেট সানরাইজার্স
অভিজ্ঞ অধিনায়ক থেকে শুরু করে বড় বড় তারকা ক্রিকেটার কোনোটিই নেই সিলেট সানরাইজার্সে। বাকি দলগুলোর তুলনায় টুর্নামেন্টের সবচেয়ে খর্বশক্তির দল সিলেট। অভিজ্ঞ অধিনায়ক ও ম্যাচ উইনারের অভাব রয়েছে দলটিতে।
- খুলনা টাইগার্স
গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন খুলনা টাইগার্স এই আসরেও বেশ ভালো একটি দলই গঠন করেছে। তবে স্পিন বিভাগে বাকিদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে দলটি। সেকুগ্গে প্রসন্ন, নাবিল সামাদ, সোহরাওয়ার্দী শুভ, সিকান্দার রাজা ছাড়া স্পেশালিষ্ট কোনো স্পিনার নেই দলটিতে। স্পিন বিভাগ ছাড়া বাকি দিকগুলোয় বেশ শক্তিশালী অবস্থান দাঁড় করিয়েছে দলটি।
- মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা
বরাবরের মতোই বেশ শক্তিশালী দল গুছিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। দলটির দূর্বল দিক তাদের ডেথ ওভার বোলিং। রুবেল হোসেন, এবাদত হোসেন, ইসুরু উদানাদের নিয়ে গড়া পেস অ্যাটাকে নেই কোনো ডেথ ওভার স্পেশালিষ্ট। বরং তিনজনই ডেথ ওভারে বেশ খরুচে বোলার। এছাড়া বেশ শক্তিশালী দল গঠন করলেও তারকায় ঠাঁসা দলটির আরেকটা দূর্বলতা হতে পারে অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপ। কথায় আছে, ‘অধিক সন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট’।