বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের উদ্ভোধনী ম্যাচে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে জয়ে দিয়ে বিপিএল মিশন শুরু করলো ফরচুন বরিশাল।
মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই কেনার লুইসকে ফেরান নাইম হাসান। আলজারি জোসেফের বলে আফিফ হোসেনও ফিরেন দ্রুতই। জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টায় থাকা সাব্বির হোসেন ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরেন সাকিবের শিকার হয়ে। এরপর চায়নাম্যান লিনলটের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রানে শেষ উইল জ্যাকসও। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে তখন চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
শামিম পাটোয়ারীকে নিয়ে উইকেটে ভীত গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ। মিরপুরের স্লো উইকেটে সাকিব, লিনলটদের সামনে রান তুলতে খাবি খেয়েছেন চট্রগ্রামের ব্যাটাররা। পঞ্চম উইকেটে ১৪ রান যোগ করতে দলীয় ৫৬ রানে ব্যক্তিগত ২৩ বলে ১৪ রানে উইকেট দিয়ে ফিরেন মেহেদি মিরাজ। খানিক বাদেই আউট শামিমও! ৬৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে চট্রগ্রাম। এরপর সপ্তম উইকেটে বেনি হওয়েল ও নাইম ইসলামের ২৫ বলে ৩২ রানের জুটি দলকে আবারও আশা জাগায়ম নাইম ১৫ রানে ফিরলেও হওয়েলের ২০ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৪১ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান সংগ্রহ করে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বরিশালের পক্ষে জোসেফ ৩২ রানে ৩, নাইম ২৫ রানে ২ ও লিনটন, সাকিব, ব্রাভোরা শিকার করেন ১ টি করে উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দেন সাকিব!
১২৬ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদি মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন নাজমুল শান্ত। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব-সৈকত আলির ব্যাটে ২৫ রানের জুটি পায় বরিশাল। এরপর দলীয় ২৮ রানে ১৬ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৩ রানে মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন সাকিব। ধৈর্য্যহারা হয়ে মারতে গিয়েই বোল্ড হন এই অলরাউন্ডার। তৃতীয় উইকেটে সৈকত ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ভালোই এগোতে থাকে বরিশাল। দু’জনে মিলে গড়েন ৩২ বলে ৩৪ রানের জুটি।
এরপর দলীয় ৬২ রানে মুকিদুল মুগ্ধর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে হৃদয় ফিরলে তৃতীয় উইকেট হারায় বরিশাল। হৃদয় করেন ১৭ বলে ১৬ রান। চতুর্থ উইকেটে ইরফান শুক্কুর ও সৈকতের ১৯ বলে ৩০ রানের দুর্দান্ত জুটিতে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে বরিশাল। তবে এরপরই ১৫তম ওভারে মেহেদি মিরাজের পর পর দুই উইকেট শিকারে ম্যাচের মোড় পালটে যায়! সৈকত ৩৯ ও ইরফান ফিরেন ১৬ রানে। ওই ওভারের শেষ বলে ব্রাভোর সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে আফিফের অসাধারণ ডিরেক্ট থ্রো’য়ে রান আউট হয়ে সালমান হোসেন শূন্য রানে ফিরলে বরিশালের জয়ের আশা ক্ষীন হয়ে যায়।
শেষ ৫ ওভারে বরিশালের দরকার ৩৪ রান, হাতে ৪ উইকেট। এরপর জিয়াউর রহমানের ঝড়ে ম্যাচ আবারও নিজেদের আয়ত্তে নেয় বরিশাল। ১৭ তম ওভারে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান নেন জিয়া। জিয়া ঝড়ে শেষ ৩ ওভারে বরিশালের দরকার ছিলো মাত্র ১২ রান। জিয়ার অপরাজিত ১১ বলে ১৯ ও ব্রাভোর ১০ বলে ১২ রানে ৪ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১২৫/৮ (২০ ওভার); হওয়েল ৪১(২০), উইল জ্যাকস ১৬(২০), নাইম ১৫(১৮); জোসেফ ৪-০-৩২-৩, নাইম ৪-০-২৫-২, সাকিব ৪-০-৯-১।
ফরচুন বরিশাল – ১২৬/৬ (১৮.৪ ওভার); সৈকত ৩৯(৩৫), জিয়া ১৯(১২)*, ইরফান ১৬(১৩); মিরাজ ৪-০-১৬-৪
ফলাফলঃ ফরচুন বরিশাল ৪ উইকেটে জয়ী।