তামিম ইকবাল খান শুধু বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়কই নন, সম্ভবত এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে বড় ভরসার নাম। ক্রিকেট মাঠে প্রচলন আছে- তামিমের ব্যাট হাসলেই, হাসে বাংলাদেশের ইনিংস। আর খেলাটা যখন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তখন ঘরের ছেলে তামিমের উপর প্রত্যাশাটাও বেশি।
চলমান আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে এখন আর ভাবছেন না তিনি, সম্ভবত সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটটিতে আর। তাই ওয়ানডে ফরম্যাটে তামিম তাঁর সেরাটা দিবেন সেটাই সবার চাওয়া। তামিমও নিশ্চয়ই চান এই ফরম্যাটে নিজের পরিসংখ্যান গুলো আর সমৃদ্ধ করতে।
তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে হাসেনি তামিমের ব্যাট। দুই ম্যাচেই আউট হয়েছেন আফগান পেসার ফজল হক ফারুকীর বলে। দুইবারই পরাস্ত হয়েছেন ফুটওয়ার্কের কারণে। ভিতরের দিকে ঢুকতে থাকা বলগুলোকে ঠিকমত খেলতে পারেনি। ফিরে গিয়েছেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
তামিম ইকবাল খানের এই সমস্যাটা অবশ্য নতুন না। পুরো ক্যারিয়ারেই এভাবে অনেকবার আউট হয়েছেন তামিম। এমনকি শেষ ১১ ওয়ানডে ম্যাচেই পাঁচ বার এই একই ভাবে নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স তো বলেই দিয়েছেন,’ এলবিডব্লিউ না হলে তামিমকে আউট করা কঠিন।‘ অর্থাৎ সমস্যাটা এই কোচেরও জানা। এখানেই শেষ নয়, তামিমের এই সমস্যা নিয়ে নেটে কাজ করতেও দেখা গিয়েছে জেমি সিডন্সকে। তবে, সমস্যাটা কাটাতে সময় লাগবে।
ওদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ফলে শেষ ওয়ানডে ম্যাচের আগে ফুরফুরে মেজাজেই আছে বাংলাদেশ দল। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনে এসেছেন মূলত টি-টোয়েন্টি দলের সদস্যরাই।
তবে সকাল সকাল সাগরিকার নেটে ব্যাট হাতে নেমে পড়েছিলেন তামিম ইকবালও। নেট বোলারদের নিয়ে লম্বা সময় ব্যাটিং করেছেন। তারপর আবার টি-টোয়েন্টি দলের স্পিনার নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদীদের বলেও ব্যাটিং করেছেন। আজ নেটে অবশ্য বড় বড় শট খেলতে দেখা যায় তামিমকে।
যেন নিজেকে ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এই ওপেনারও। আসলে শেষ ম্যাচে ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিমের ফেরাটা বাংলাদেশের জন্যও জরুরি। এই ওপেনার ভালো শুরু এনে দিলে বাংলাদেশের জন্যও কাজটা সহজ হয়ে যায়। ফলে ওয়ানডে অধিনায়ক দ্রুত রানে ফিরুক সেটাই এখন প্রত্যাশা।
সময়ও দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে তামিমের। যতই ফর্ম হারাবেন, ততই যেন মন থেকেও জায়গা হারাতে শুরু করবেন। আউট অব ফর্ম, আউট অব সাইট! তো, জ্বলে ওঠার এখনই সময়। এখন নয় তো আর কখন!