এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজটা নিশ্চিত হয়েছিল। ফলে হোয়াইট ওয়াশের একটা সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। তারচেয়েও বড় কথা সুপার লিগে আরো ১০ টা পয়েন্ট বাড়িয়ে নেয়া যেত। কেননা সামনে বাংলাদেসগের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা। তবে আজ সিরিজের শেষ ম্যাচে আবারো বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় এবং আফগানদের সহজ জয়।
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজটা দুর্দান্ত কাটলো লিটন দাসের। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির পর আজও খেলেছেন ৮৬ রানের ইনিংস। এছাড়া মিরাজ-আফিফ প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন। তবে ব্যাটিং লাইন আপে সবচেয়ে বেশি আশা যাদের ঘিরে তাঁরা এই পুরো সিরিজেই ছিলেন ফ্লপ। ফলে সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশের দুশ্চিন্তাটা একেবারে কেটে যাচ্ছেনা। সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাটেও যেন সেরা ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছেনা বাংলাদেশ।
ওদিকে শেষ ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে হতাশা জড়েছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আসলে খুবই হতাশ। ম্যাচ শুরুর আগেও আমি বলেছিলাম যে এটা এই সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কারণ এখন সিরিজ জিতলেই খুশি হওয়ার কিছু নেই। প্রত্যেকটা ম্যাচের জন্য পয়েন্ট আছে, আলাদা মূল্য আছে।’
এমনকি সামনে যে বাংলাদেশের বিপক্ষে কঠিন সব ম্যাচ অপেক্ষা করছে সেটিও উল্লেখ করেছেন এই অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মত দলগুলোর সাথে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ চিন্তিতই মনে হয়েছে তামিমকে। তিনি বলেন, ‘আপনি ভবিষ্যতের কথা কিছু বলতে পারেন না। আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ আছে, ইংল্যান্ডের সাথে খেলতে হবে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওদের মাটিতে খেলতে হবে। ফলে আমরা যে ভালো করবোই তাঁর কোন নিশ্চয়তা নেই।’
ওদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করার জন্য খুব বেশি ম্যাচ জেতার প্রয়োজন নেই। তবে এতটুকুতেই খুশি হতে চান না তামিম। তিনি বাংলাদেশকে টেবিলের উপরের দিকেই দেখতে চান। তামিম বলেন, ‘হয়তো আর দুই একটা ম্যাচ জিতলেই আমাদের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হবে। তবে আমার লক্ষ্য না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি চাই অন্তত টেবিলের সেরা চারে থেকে শেষ করতে।’
তামিম পরিকল্পনা করছেন ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই। তিনি মনে করেন সেরা চারে থেকে সুপার লিগ শেষ করলে বিশ্বকাপ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ২০২৩ বিশ্বকাপে বলতে চাই যে আমরা জিততে এসেছি তাহলে আমাদের অন্তত সেরা চারে থেকে শেষ করা উচিৎ। আমরা সাত-আটে থেকে শেষ করলে বিশ্বকাপ জেতার কথাটা বলা মানায় না।’
এছাড়া ব্যাট হাতে নিজেরও সিরিজটা একেবারেই ভালো যায়নি তামিম ইকবালের। তিন ম্যাচেই এক বোলারের কাছে উইকেট দিয়ে এসেছেন। নিজের এই পারফর্মেন্স নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন এই ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘আমার তো অনেক লম্বা ক্যারিয়ার। এই লম্বা ক্যারিয়ারে এমন সিরিজ খুবই কমই গিয়েছে যেখানে একটা ম্যাচেও আমি রান করিনি। হয়তো দুই একটা সিরিজে। আর একই বোলারে বিপক্ষে তিন ম্যাচে আউট হয়েছি। এটা হতেই পারে তবে আমি খুব বেশি চিন্তিত নই। এই জায়গাটা থেকেই আমি অনেক রান করেছি। হয়তো আমাকে আরেকটু কাজ করবে হবে।’