টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব একটা ভালো সময় কাটাচ্ছেন না। তবুও তাকে দলে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিটা মুশফিকুর রহিম খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। তবে আজ ঐচ্ছিক অনুশীলনে মুশফিককে দেখে খানিকটা উত্তর মিলেছে। তবে বাংলাদেশ দলের ফিজিও নিশ্চিত করেছেন ফিরছেন মুশি।
প্রথম ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে গিয়ে আঙুলে চোঁট পেয়েছিলেন। সেজন্য প্রথম ম্যাচে আর মাঠে নামা হয়নি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। তবে আজ আবার মিরপুরের দেখা গেল চেনা মুশফিককে। ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনেও ব্যাট হাতে নেমে পড়েছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আঙুলের চোঁটটা গুরুত্বপূর্ণ না। আবারো মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত তিনি।
মুশফিকের একাদশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বিসিবির ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম বলেছেন, ‘২ তারিখে মুশফিকুর রহিমের আঙুলে বল লাগার পর এক্স-রে করানো হয়েছিল। সেখানে চিড় বা এ ধরনের কিছুর অস্তিত্ব দেখা যায়নি। গতকাল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। দেখা গেছে যে আঙ্গুলের ফোলা আর নেই। আজকে সে ব্যাটিং করল। থ্রো ডাউন খেলল, স্পিনে ব্যাট করল, পেস বোলিংও খেলল। সব মিলিয়ে সে ভালো আছে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁকে একাদশে রাখা যায় কি না, সেটা নিয়ে বিবেচনা করা হবে।’
আগামীকাল ম্যাচ খেললে অনেকদিন পরই আবার এই ফরম্যাটে ফিরবেন মুশফিক। কেননা ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি ছিলেন না। ফলে আগামীকাল একাদশে সুযোগ পেলে নতুন এক রেকর্ডও স্পর্শ করবেন এই ব্যাটার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলবেন ১০০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
ফলে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাকে রাঙিয়েই রাখতে চাইবেন এই ব্যাটসম্যান। হয়তো এই ফরম্যাটে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে যে সমালোচনা আছে সেটিরও জবাব দিতে পারবেন এই ম্যাচ দিয়েই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে একাদশে থাকলে কার জায়গায় খেলবেন মুশফিক। কেনন মিডল অর্ডারে তেমন জায়গা নেই বললেই চলে।
মুশফিকের জায়গায় একাদশে গতকাল অভিষিক্ত হয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। শেষদিকে নেমে তেমন কিছু করার ছিল না এই ব্যাটসম্যানের। খেলেছেন ৭ বলে ৮ রানের ইনিংস। ফলে একটি সুযোগ দিয়েই রাব্বিকে বাদ দিয়ে দেয়াটা তাঁর প্রতি অবিচার হবে।
তবে টপ অর্ডারটা এখনো গুছাতে পারেননি বাংলাদেশ। মুনিম শাহরিয়ারও গতকালই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁ রাখলেন। ফলে তাঁকেও আরো সুযোগ দিবে দল। তবে আরেক ওপেনার নাঈম শেখকে খেলানো নিয়ে আছে প্রশ্ন।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে নাঈম শেখ যান কিনা সেটা নিয়েই প্রশ্ন আছে। কেননা পুরো ক্যারিয়ার ওপেন করেও তাঁর ফায়দা তুলতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। তাঁর স্ট্রাইকরেট মাত্র ১০০ এর কাছাকাছি। ফলে তিনি ম্যাচের শুরুতেই দলকে পিছিয়ে দিচ্ছেন কিনা সেই প্রশ্নও জাগে। এছাড়া পাকিস্তান সিরিজ থেকেই ব্যাট হাতে রাননি তাঁর। প্রথম ম্যাচেও ছিলেন ফ্লপ।
ফলে টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর জায়গা বেশ নরবরে। তাঁকে একাদশ থেকে বাদ দিয়েও মুশফিককে খেলাতে পারে বাংলাদেশ। ওদিকে প্রথম ম্যাচে লিটন তিন নাম্বারে ব্যাটিং করেছেন। সেক্ষেত্রে হয়তো লিটনকে দিয়ে ওপেন করাবে বাংলাদেশ। তা নাহলে আসলে মুশফিককে শততম টি-টোয়েন্টি খেলার সু্যোগ করে দেয়া কঠিন।