সাদমান ইসলামের এই টেস্ট বেঞ্চে বসেই দেখার কথা ছিলো। হঠাৎ ওপেনার হয়ে যাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথে নিজের জায়গায় ফেরার কথা ছিলো তামিম ইকবালের। কিন্তু সকালেই সবকিছু ওলোট পালোট হয়ে গেলো। তামিম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম বারের মত তাঁদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। রঙিন পোশাকে অসাধারণ একটা সিরিজ কাটানোর পর ফুরফুরেই ছিল বাংলাদেশ দল। এছাড়া আরো বড় স্বস্তির জায়গা ছিল তামিম ইকবালকে আবার টেস্ট দলে ফিরে পাওয়া। ইনজুরির কারণে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজটি খেলতে পারেননি এই ওপেনার।
তবে প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগ মুহূর্তেই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হলো মুমিনুলের দলকে। টেস্ট দলের দুই গুরুত্বপূর্ন সদস্য তামিম ইকবাল ও শরিফুল ইসলামকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
প্রথম টেস্টের একাদশে নেই তামিম ইকবাল। আজ সকালেই পেটের অসুখে পড়েন তিনি। সকাল থেকেই তাঁর পেটের সমস্যাটা শুরু হয়। তাই টেস্টের প্রথমদিন মাঠেও আসতে পারেননি তিনি। আর তামিমকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
তামিমের না থাকার ব্যাপারে বাংলাদেশ দলের ফিজিও বলেন,’তামিম আজকে ভোর থেকেই প্রচন্ড পেটের অসুবিধায় ভুগছেন। ইতোমধ্যে আমাদের যে চিকিৎসক আছেন তিনি তামিকে ওষুধ দিয়েছেন। তাঁরা এখন হোটেলেই আছে। তাকে আমরা আর মাঠে নিয়ে আসিনি, ফলে এই ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছেনা।‘
এছাড়া বাংলাদেশ এই টেস্টে সবচেয়ে বেশি করে তাকিয়ে আছে পেসারদের দিকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট জইয়ের জন্য পেসারদের জ্বলে উঠাটাই সবচেয়ে জরুরি। আর বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন শরিফুল ইসলাম। আর এই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর। ফলে এই টেস্টে বাংলাদেশের বড় শক্তি হতে পারতেন শরিফুল।
যদিও শরিফুলের ইনজুরি খুব একটা গুরুত্বর না বলেই জানিয়েছেন ফিজিও। এই পেসার টানা তিন ফরম্যাটেই খেলে যাচ্ছে। সেভাবে বিশ্রামও পাচ্ছেনা। এছাড়া তাঁর শরীরেও ছোট ছোট কিছু চোট আছে। তাই তরুণ এই তুর্কীকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চায় না বাংলাদেশ দল।
শরিফুলের ব্যাপারে ফিজিও বলেন,’ শরিফুল আগের টেস্টেও খেলেছে। এরপর টানা ওয়ানডে ম্যাচও খেলছে। সেভাবে বিশ্রাম পায়নি। এছাড়া অনুশীলনের পর সে একটু দুর্বল বোধ করছে। তাই আমরা তাঁকে নিয়ে কোন রিস্ক নিচ্ছিনা।‘