না থেকেও আছেন মিরাজ!

মিরপুরের ইনডোরের নেটে একটা বল করে মোসাদ্দেক হোসেন কী যেন একটা বললেন। হয়তো বলছিলেন, ‘আমি তো আর থাকছি না, তুই ম্যাচে এভাবে করিস।’

শুধু এই একবার না। আজ ম্যাচের আগেরদিন বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের বেশ কয়েকবার মোসাদ্দেককে খুঁটিনাটি কিছু জিনিস দেখিয়ে দিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। হ্যাঁ, এখানে আসলে মিরাজেরই থাকার কথা ছিল, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার কথা। তিনিই তো দলের সবেধন নীলমণি – মানে একমাত্র অফ স্পিনার। কিন্তু, স্রেফ ভাগ্যের ফেরে তিনি এবার নেই।

আজ বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে সবার আকর্ষণ ছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে। কেননা প্রায় তিন বছর পর আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তবে এই টেস্টে তাঁর মূল দায়িত্ব বোলিং। তাঁকে পুরোদস্তুর স্পিনার ধরে নিয়েই আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে এসেও এমনই আভাস দিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ।

মোসাদ্দেক খেলবেন মূলত মিরাজের জায়গায়। আর না থেকেও মিরপুর টেস্টে ঠিকই আছেন মিরাজ। টেস্ট শুরুর আগে শেষ অনুশীলনে নজর কেড়েছেন তিনিও। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপের অন্যতম বড় ভরসার নাম মিরাজ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অফ স্পিনার হিসেবে তিনি বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ। তবে ইনজুরির কারণে এই সিরিজ মাঠের বাইরেই থাকতে হলো তাঁকে।

আজ নেটে মিরাজের বোলিং করাটা বেশ অবাকই করেছে। কেননা ইনজুরি কাটিয়ে মাত্রই রিহ্যাব শুরু করেছেন। তাঁর পুরো জোর দিয়ে বোলিং করতে আরো প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগার কথা। তবে আজ আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়েই হাত ঘুরিয়েছেন তিনি। মিরাজ জানেন তাঁর জায়গায় কাল মাঠে নামবেন মোসাদ্দেক। সেজন্যই হয়তো মোসাদ্দেককে খানিকটা পরামর্শই দিচ্ছিলেন মিরাজ।

এছাড়া অনুশীলনে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথও ব্যস্ত সময় পার করেন এই দুই স্পিনারকে নিয়ে। কেননা হেরাথ জানেন টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে আবার খুব দ্রুতই মিরাজকে ফিরে পাওয়া জরুরি। আর মিরপুর টেস্টে যে বল হাতে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে মোসাদ্দেককেও।

আর মিরাজ নিজেকে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন ভবিষ্যতের জন্য। কারণ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পরই বাংলাদেশ দলকে উড়াল দিতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। সেখানে বোলিং কিংবা ব্যাটিং – দুই বিভাগেই মিরাজের সার্ভিসের অপেক্ষায় থাকবে বাংলাদেশ দল।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link