ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ড্রাফটে আছেন বাংলাদেশের ১৮ জন খেলোয়াড়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুই চমক হলো, বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও বাঁ-হাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা।
বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ড্রাফট। ড্রাফট থেকে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পাঁচজন করে বিদেশি খেলোয়াড় নিতে পারবে। একটি দল চারজন বিদেশি খেলোয়াড় একসাথে খেলাতে পারবে। ড্রাফটের বাইরে থেকে আরও তিনজন খেলোয়াড়কে নিতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো।
সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন নাসুম ও রানা। দু’জনই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলেন। দু’জনেরই ভিত্তিমূল্য ১৫ হাজার ডলার।
বল হাতে ৭.২৬ ইকোনোমিতে ১৩ উইকেট শিকার করেছিলেন নাসুম। তবে পুরো আসর জুড়ে নিয়ন্ত্রিত এবং প্রয়োজনীয় সময়ে দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দিতে দক্ষ ছিলেন ২৫ বছর বয়সী নাসুম।
পেসার রানার বোলিংও ছিলো চোখে পড়ার মত। ১০ ম্যাচে ১৮ উইকেট শিকার ছিলো তার। স্লগ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে দলকে ম্যাচ জেতাতে পারদর্শী ছিলেন ২৩ বছর বয়সী রানা।
নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের পক্ষে সিপিএলে খেলে থাকেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সর্বশেষ আসরে একমাত্র ড্রাফটে ছিলেন আফিফ হোসেন।
দলও পেয়েছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অনাপত্তি পত্র না দেওয়ার কারণে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে সূত্র বলছে, এ বছর বাংলাদেশের প্রথম সারির খেলোয়াড়রা ড্রাফটে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন।
আসন্ন সিপিএলের আসরটি আগামী ১৮ আগস্ট থেকে শুরু নির্ধারিত সূচি রয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে এই টুর্নামেন্টের। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আসন্ন সিপিএল শুধুমাত্র ত্রিনিদাদে আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ।