‘মেসিকে আটকাবেন? সমাধান একটাই, লাথি মারুন’

লিওনেল মেসিকে কি করে আটকানো যাবে, ব্যাপারটা অনেক প্রতিপক্ষেরই গবেষণার বিষয়। গেলো বছরেই হোসে মরিনহো মন্তব্য করেছিলেন, তাঁকে আপনি খাঁচা বানিয়ে আটকে রাখতে পারবেন না আদৌ। তাকে আটকানোর কৌশল সম্পর্কে এবার বললেন মেসিরই এক স্বদেশী ফfর্নান্দো ক্যাসেরেস। জানালেন একমাত্র, লাথি মেরেই বার্সা অধিনায়ককে আটকানো সম্ভব।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে সাবেক ভ্যালেন্সিয়া ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘যখন লিওনেল মেসি আপনার মুখোমুখি চলে আসেন তখন আপনার কী করা উচিত? আপনি যদি না জেনে থাকেন তবে আপনার কাজটা হবে কেবল লাথি মারা। এটাই হবে আপনার একমাত্র সমাধান। ভাগ্য ভালো, আমি কখনোই মেসির মুখোমুখি হইনি, কিন্তু ব্যাপারটা কঠিন হতো আমার পক্ষে কারণ অভাবনীয় সব কাজ করে।’

মেসি নাকি ম্যারাডোনা? এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো সাবেক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারকে। এক্ষেত্রে অবশ্য বেশ কৌশলী পন্থাই বেছে নিয়েছেন ক্যাসেরেস। বলেছেন, ‘দুজনের মাঝে একজনকে বেছে নেয়া কঠিন। কারণ তাদের সময় ভিন্ন আর ফুটবলের ধরণটাও।’

মেসির বিপক্ষে না খেললেও ফfর্নান্দো ক্যাসেরেস খেলেছেন রোনালদিনহোর বিপক্ষে।

ম্যারাডোনার পড়ন্ত বেলায় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তীর সাহচর্য পেয়েছিলেন ক্যাসেরেস। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের সঙ্গে স্মৃতির প্রসঙ্গ আসতেই ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ফিরে যান তিনি। বলেন, ‘নাইজেরিয়া ম্যাচে আমরা দেরিতে মাঠে নেমেছিলাম। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা আমাদের অপেক্ষা করছিলো। ডিয়েগো এলেন, আর প্রতিপক্ষের সবাইকে অভিবাদন জানালেন। হ্যান্ডশেক করে সবার নাম একে একে বলে গেলেন। তাদের সবাইকে চিনতেন ডিয়েগো! ব্যাপারটা তাদের বিশ্বাসই হচ্ছিলো না! সে ম্যাচে ম্যারাডোনা ক’বার বলে লাথি মেরেছিলেন সেটাও মনে আছে আমার।’

আরও একটা ঘটনা উঠে এলো সাবেক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের স্মৃতির সেলুলয়েড ধরে, ‘ইকুয়েডরে এক অনুশীলন সেশনের আগে , কোচ আলফিও বাসিলে বললেন আজ ডিয়েগো আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করবেন। সাধারণত তিনি আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করতেন না। আমরা একটা ম্যাচ খেলার জন্যে তৈরি হচ্ছিলাম। ম্যাচে কেউ একজন বলটা আকাশে তুলে দিলো। সেটাকে দখলে নিতে আমিও লাফিয়ে উঠলাম। কারো সঙ্গে আমার সংঘর্ষ হলো। আমি তখনো জানতাম কার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। সেই লোকটা সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে কোচের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। যখন আমিও পড়লাম, দেখলাম লোকটা ডিয়েগো ম্যারাডোনা! আমার বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। আমি তাকে উঠে দাঁড়ানোর জন্যে বলেছিলাম। নাহয় আমাকে বুয়েন্স এইরেসের বিমানে উঠতে হতো। এরপর আমি আর তাঁর ধারেকাছেও ঘেঁষিনি!’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link