দিনের খেলায় আঘাত এসেছে মোট তিনবার । বৃষ্টির কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছে খেলা। তবুও দিনের শুরুতে মন ভালো করা অনুভূতি এনে দিয়েছিলেন খালেদ আহমেদ। টেস্ট ক্রিকেটে এই পেসার প্রথম বারের মত তুলে নিলেন পাচ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে আবারো সেই হতাশার দিন, পুরনো চিত্র।
বাংলাদেশের পেসাররা পুরো সিরিজেই নিজেদের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছেন। আজও যেমন পাঁচ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়েছেন খালেদ। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রতিবারই একই ভুল করে চলেছেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এই চরম ব্যর্থতা কোনভাবেই সামাল দিয়ে উঠতে পারছেন না বোলাররা। তাইতো প্রথম তিন দিনের খেলা শেষে ম্যাচ হারের শঙ্কা নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টেস্টে মুমিনুল হককে বাদ দিয়ে এনামুল হক বিজয়কে দলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে ২৩ রানের পর আজ ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৪ রান। এছাড়া পুরো টপ অর্ডারের একই হাল।
ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থ হয়ে চলেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা অবশ্য করে দিয়ে গিয়েছেন অন্যতম সিনিয়র ব্যাটার তামিম ইকবালই। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন। তাঁর উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট নেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কেমার রোচ।
একইরকম ভুল করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন নাম্বারে নামা এই ব্যাটার অবশ্য আজ ভালো শুরু পেয়েছিলেন। সাকিবের সাথে একটা জুটিও গড়ে উঠছিল। তবে তিনিও অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে খোচা দেইয়ে আউট হন। ফলে ৯১ বলে ৪২ রান করেই থেমে যায় শান্তুর ইনিংস।
ওদিকে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ব্যর্থ হয়েছেন আজও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরির পর থেকেই যেন নিজেকে হারিয়ে খুজছেন জয়। এরপর ১০ ইনিংস খেলে ফেললেও মাত্র একবার হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। এরমধ্যে চারবার রানের খাতাই খলতে পারেননি জয়। ফলে তরুণ এই ওপেনারেরও দ্রুত রানে ফেরা জরুরি।
ওদিকে একমাত্র ভরসা হয়ে থাকা সাকিব আল হাসানও ফিরে যান দ্রুতই। মাত্র ১৬ রানেই থামে তাঁর ইনিংস। সাকিব আউট হলে ইনিংস হারের শঙ্কাও জাগে বাংলাদেশের সামনে। তবে মিরাজ আর সোহান অপরাজিত থেকেই দিন শেষ করেছেন। যদিও এখনো ৪২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।