ছবি দুটো লক্ষ্য করুন।
১. প্রথম ফ্রেমে বোলারের বুট মাটি টাচ করা অবস্থায় আছে এবং বুটের কিছু অংশ বিহাইন্ড দ্য লাইন!
২. দ্বিতীয় ফ্রেমেও বোলারের বুট মাটি টাচ করা অবস্থায় আছে, কিন্তু বুটের কোন অংশ বিহাইন্ড দ্য লাইন নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আম্পায়ার কোন ফ্রেমটাকে আমলে নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন?
নো বল সংশোধনী আইন অনুযায়ী বোলারের বুট পপিং ক্রিজে যে মূহুর্তে মাটি স্পর্শ করবে, সেই মূহুর্তে বোলারের বুটের অবস্থান অনুযায়ী নো বলের ডিসিশন দেয়া হবে। টাচ করার সময় যদি বুটের কোন অংশ বিহাইন্ড দ্য লাইন থাকে, তাহলে সেটা লিগ্যাল (নো বলের ক্ষেত্রে) ডেলিভারি হিসেবে গন্য করা হয়। এমনকি গ্রাউন্ড টাচ হবার পর পিছলিয়ে বুট লাইন অতিক্রম করলেও সেটা লিগ্যাল। অর্থাৎ, ফার্স্ট টাচ ইজ দ্য মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট পার্ট।
তাহলে ছবি দুটির আলোকে এটা স্পষ্ট যে, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মেহেদী হাসানের বলটি বৈধ ছিল। কারণ, তার বুট যখন পপিং ক্রিজে প্রথম গ্রাউন্ডেড হয়, তখন বুটের কিছু অংশ ভেতরে ছিল, এরপর মোমেন্টামের জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়।
ফিল্ড আম্পায়াররা অনেক সময় এসব ক্ষেত্রে ভুল করে ফেলেন, কারন তাৎক্ষনিক ডিসিশন নেবার একটা ব্যাপার থাকে, ফার্স্ট টাচের ব্যাপারটা চোখে নাও পড়তে পারে। কিন্তু একজন থার্ড আম্পায়ার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল এবং ফ্রেম যাচাই বাছাইয়ের সুযোগ পান। তিনি কিভাবে মেহেদী হাসানের বলটিকে ‘নো বল’ ঘোষণা করলেন সেটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। তাছাড়া ফিল্ড আম্পায়ারের ডিসিশন ওভার টার্ন করতে হলে কনক্লুসিভ এভিডেন্স দরকার হয়, থার্ড আম্পায়ারের কাছে ছিল কি?
ওই নো বলটা ম্যাচ ডিসাইডার প্রমানিত হতে পারত। এক বলে পাঁচ রান থেকে ব্যাপারটা দুই বলে চার রানের সমীকরনে চলে আসে। ভাগ্য এবং মাহেদির এক্সিলেন্সে রাজশাহী হয়ত ডিজার্ভিং ম্যাচটা জিতেছে, কিন্তু হতে পারতো এর উল্টোটাও।
রাজশাহী জেতায় নো বলের এই ডিসিশনটা নিয়ে হয়ত কথা উঠবে না, কিন্তু আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাবে আমাদের মত গুটি কয়েকের মনে।
নিছক এক আম্পায়ারিং ভুল? নাকি ভুলের আড়ালেও কিছু গল্প রয়েছে? এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে না। পাঁচ দলের এই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপকে অনেকে তা্ বলছেন ‘মিনি বিপিএল’। আর সেই মিনি বিপিএলের শুরু হল ‘মিনি’ এক বিতর্ক দিয়ে।