ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই যেন মাঠ ও মাঠের বাইরে আলাদা এক উত্তাপ। উচ্ছ্বাস, উন্মাদনায় পিছিয়ে থাকে না দুই দেশের সমর্থকরাও। এর পালে বাড়তি হাওয়া দেয় বাংলাদেশের সহস্র ক্রিকেটানুরাগী। টং দোকানে চায়ের আড্ডায় এমন একটা ম্যাচ যেন দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফসল।
দীর্ঘদিন হলো, পাকিস্তানের জন্য ভারতে প্রবেশদ্বার বন্ধ। আবার ভারতও পাকিস্তান সফরে অদূর ভবিষ্যতে যাবে বলে মনে হয় না। এ কারণে দু’দলের আগের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজও এখন আর আগের মত হয় না। তাই দু’দলের লড়াই দেখার জন্য চেয়ে থাকতে হয় আইসিসির ইভেন্ট আর এশিয়া কাপের দিকে। আইসিসির ইভেন্টে আবার দু’দলের মুখোমুখি হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা নেই। তাই এই দুই দেশের লড়াই দেখার একমাত্র জায়গা হলো এশিয়া কাপ।
শুরু হয়ে গেছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৫ তম আসর। টুর্নামেন্ট সূচি যে ফরম্যাটে বানানো হয়েছে তাতে হংকং যদি না কোনো অঘটন ঘটায় তাহলে ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে দু’টি ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই খেলবে। আর যদি দু’দলই ফাইনাল যায় তাহলে তাদের ম্যাচ সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে তিনে। এক টুর্নামেন্টেই নিজেদের মধ্যে তিন ম্যাচ!
ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য দারুণ এক উপলক্ষ্য। তবে বিস্ময় জাগানিয়া ব্যাপার হলো, এশিয়া কাপের ফাইনালে এ দু’দল কখনোই একে অপরের মুখোমুখি হয়নি! এখনো সে সম্ভাবনা অটুট থাকবে নাকি প্রথমবারের মতো দু’দল একই সাথে এশিয়া কাপ ফাইনালে উঠে কাব্য লিখবে তা সময়ই বলে দিবে।
১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপে ভারত আর পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ১৫ টি। এর মধ্যে ভারতের জয় ৮ টি তে আর পাকিস্তানের জয় ৫ টিতে। বাকি দুই ম্যাচের কোনো ফল আসেনি। মূলত এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের সেই ১৫ টি ম্যাচ নিয়েই খেলা ৭১-এর আজকের আয়োজন।
- ১৩ এপ্রিল, ১৯৮৪, শারজাহ
এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটিই ছিল ভারত-পাকিস্তান মধ্যকার প্রথম ম্যাচ। টসে জিতে সে ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ৪৬ ওভারের বেঁধে দেওয়া ম্যাচে সুরিন্দর খান্নার ৫৬, সন্দ্বীপ পাতিলের ৪৩ আর সুনীল গাভাস্কারের ৩৬ রানের ইনিংসের সুবাদে ভারত স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৪ উইকেটে ১৮৮ রান।
জবাবে রজার বিনি আর রবি শাস্ত্রীর বোলিং তোপে ১৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ভারত ম্যাচটি জিতে নেয় ৫৪ রানে। ম্যাচ সেরা হন সুরিন্দর খান্না।
- ৩১ অক্টোবর, ১৯৮৮, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলেছিল এশিয়া কাপের চতুর্থ আসরে। কারণ দ্বিতীয় আসরে ভারত অনুপস্থিত ছিল আর পাকিস্তান অনুপস্থিত ছিল তৃতীয় আসরে। এজন্য এ দুই দলকে চার বছর পর আবারো এশিয়া কাপে মুখোমুখি হতে দেখা যায়। এ ম্যাচটিও জিতেছিল ভারত। সে ম্যাচে ভারতীয় পেসার আরশাদ আইয়ুবের বোলিং তোপে মাত্র ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
জবাবে ৫৬ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় ভারত। আরশাদ আইয়ুব ২১ রানে ৫ উইকেট নেওয়ায় সে ম্যাচটিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
- ৭ এপ্রিল, ১৯৯৫, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম
এশিয়া কাপে এবার নিজেদের তৃতীয় দেখায় এসে অবশেষে জয়ের মুখ দেখে পাকিস্তান। সে ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ইনজামাম উল হকের ৮৮ আর ওয়াসিম আকরামের অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসের কল্যাণে ২৬৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
জবাবে আকিব জাভেদ আর নাইম আশরাফের বোলিংয়ের সামনে সেদিন দাঁড়াতেই পারেনি ভারত। মাত্র ১৬৯ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। দলের পক্ষে নভোজিৎ সিধু সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছিলেন। সে ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিলেন আকিব জাভেদ।
- ২০ জুলাই, ১৯৯৭, সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব, কলম্বো
কলম্বোর আকাশে সেদিন শুধু মেঘ আর মেঘ। মেঘ ভেঙ্গে এক সময় অঝোরে বৃষ্টি নামে। ভারত-পাকিস্তান মহারণ আদৌতে মাঠে গড়াবে কিনা সেটি নিয়েই শঙ্কা। বৃষ্টি থামলে সেই শঙ্কা অবশ্য একসময় সম্ভাবনায় পরিণত হয়। ভারত টসে জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু ভেঙ্কটাশ প্রসাদের বোলিং তোপে যেন সেদিন তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। মাত্র ৩০ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। পাকিস্তান কত কম রানে অলআউট হবে তার জন্য ভারত সমর্থকরা যখন মুখিয়ে ঠিক তখনই আবার বৃষ্টির বাগড়া। প্রকৃতি সেদিন চরম এক লজ্জার হাত থেকে পাকিস্তানকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। কারণ ৯ ওভারের পরে ম্যাচে আর একটি বলও গড়ায়নি। বিরামহীন বৃষ্টির স্রোতে ভেস্তে যায় সে ম্যাচ।
- ২১ জুলাই, ১৯৯৭, সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব, কলম্বো
এশিয়া কাপের একই আসরে ভারত-পাকিস্তান মধ্যকার দুই ম্যাচ! প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হওয়া নিয়ে সমর্থকদের চাওয়া ছিল প্রবল। কিন্তু কলম্বোর আকাশের কালো মেঘের কাছে এ দিনও হেরে যায় ক্রিকেট সমর্থকদের চাওয়া। আগের ম্যাচে তবুও মাঠে ৫৪ বল গড়িয়েছিল। কিন্তু প্রবল বর্ষণে এ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায় মাঠে কোনো বল না গড়িয়েই।
- ৩ জুন, ২০০০, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম
মোহাম্মদ ইউসুফের সেঞ্চুরিতে এ ম্যাচে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ২৯৫ রান। জবাবে অজয় জাদেজার ৯৩ রানের ইনিংসের কল্যাণে ভারত লক্ষ্যের পথে পা বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ৪৪ রানে। ম্যাচসেরা হন মোহাম্মদ ইউসুফ।
- ২৫ জুলাই, ২০০৪, প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো
টসে জিতে এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শুরুতে ইমরান নাজিরের উইকেট হারালেও শোয়েব মালিকের ১৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৩০০ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে শচীন টেন্ডুলকার ৭৮ রান করলেও লক্ষ্য থেকে ৬০ রান দূরে থাকতেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ম্যাচ সেরা হন শোয়েব মালিক।
- ২৬ জুন, ২০০৮, করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়াম
এশিয়া কাপে দুই দলের দেখায় টানা তিন ম্যাচ জয়ের সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। আগের বারের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১৪৩ করা শোয়েব মালিক এ ম্যাচেও করেন সেঞ্চুরি, খেলেন ১২৫ রানের ইনিংস। পাকিস্তান স্কোরবোর্ডেও জমা করে ২৯৯ রানের বড় সংগ্রহ। তবে শেবাগের সেঞ্চুরি আর সুরেশ রায়নার ৬৯ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। ম্যাচ সেরা হন সুরেশ রায়না।
- ২ জুলাই, ২০০৮, করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়াম
একই আসরে সুপার ফোরে আবারো মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচটির মতো এ ম্যাচটিও ছিল হাই স্কোরিং। তবে এ ম্যাচটিতে জয় পায় পাকিস্তান। ভারতের দেয়া ৩০৯ রানের টার্গেটে পাকিস্তান পৌঁছে যায় ২৭ বল বাকি থাকতেই। পাকিস্তান সে ম্যাচটি জিতেছিল ৮ উইকেটে। আর ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ইউনুস খান সে ম্যাচে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
- ১৯ জুন, ২০১০, রঙগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়াম
শ্রীলঙ্কায় হওয়া সেবারের এশিয়া কাপের আসরে আবারো মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সে ম্যাচটিতে পাকিস্তান ৩ উইকেটে হেরে যায়। ম্যাচসেরা হন ৮৩ রানের ইনিংস খেলা গৌতম গম্ভীর।
- ১৮ মার্চ, ২০১২, শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, মিরপুর
বিরাট কোহলি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এ ম্যাচেই। মোহাম্মদ হাফিজ আর নাসির জামশেদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩২৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান৷ তবে বিরাট কোহলি সেদিন যেন ক্রিজে এসেছিলেন ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হয়ে। ১৪৮ বলে তাঁর ১৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৭ বল আগেই ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। অনুমিতভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছিলেন বিরাট কোহলি।
- ৬ মার্চ, ২০১৪, শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম মিরপুর
বলা যেতে পারে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মধ্যকার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে টান টান উত্তেজনার ম্যাচ ছিল এটি। ভারতের দেওয়া ২৪৬ রানেট টার্গেট খুব একটা বড় সংগ্রহ না হলেও লড়াইটা জমেছিল বেশ। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। হাতে উইকেট ছিল দুটি। তবে বিপত্তিটা বাঁধে ব্যাটিং প্রান্তে থাকা আজমল আউট হয়ে যাওয়ার পর। হাতে একটি মাত্র উইকেট থাকায় এক মুহূর্তের জন্য কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান।
তাছাড়া তাদের একমাত্র আশা শহীদ আফ্রিদি রয়েছেন নন স্টাইক প্রান্তে। তাই ম্যাচহারের শঙ্কা ছিল প্রবল। তবে প্রায় নিভে যাওয়া প্রদীপে আলো হয়ে আসেন শহীদ আফ্রিদি। জুনায়েদ খান একটি সিঙ্গেল দিয়ে প্রান্ত বদল করেন। স্ট্রাইক প্রান্তে যান শহীদ আফ্রিদি। পরের চার বলে নয় রানের সমীকরণে শহীদ আফ্রিদি পরের ২ বলেই মারেন ২ ছক্কা। ম্যাচ জিতিয়ে আফ্রিদির দু’হাত প্রসারিত করা আর ম্যাচ হারের হতাশায় আশ্বিনের মাথায় হাত দেওয়ার সে দৃশ্য তাই এশিয়া কাপ ক্রিকেটের অন্যতম প্রতীকী ছবি হয়ে গেছে।
- ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম
প্রথমবারের মতো এ আসরেই এশিয়া কাপের ফরম্যাট পরিবর্তন করা হয়। খেলা হয় টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে। নতুন ফরম্যাট, তাই সমর্থকদের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তবে সে উদ্দীপনা, উন্মাদনায় নিমেষে মিলিয়ে যায় যখন পাকিস্তান মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়।
ছোট টার্গেট, তার উপর ভারতের বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইনআপ। তাই একপেশে এক ম্যাচের দিকেই চোখ ছিল সবার। তবে সব কিছু ভুল প্রমাণ করে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন মোহাম্মদ আমির। মাত্র ৮ রানেই একে একে তুলে নেন রোহিত শর্মা, রাহানে, রায়নার উইকেট। একের পর এক বাউন্সার, সুইংয়ে বিধ্বস্ত হতে থাকে ভারতীয় ব্যাটাররা।
তবে ভারতের ত্রাণকর্তা হিসেবে সেদিন আবির্ভূত হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বুক চিতিয়ে লড়াই শুরু করেন তিনি। মাঝে মধ্যে পাল্টা আক্রমণে ভারতকে খোলস থেকে বের করে নিয়ে আসেন তিনি। ৫১ বলে খেলেছিলেন ৪৯ রানের ইনিংস। টি-টুয়েন্টি সুলভ ইনিংস না, তবে ইম্প্যাক্ট বিবেচনায় ভারতীয় এ ব্যাটারের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সেটি। ভারত সে ম্যাচটি জিতেছিল ৫ উইকেটে। ম্যাচসেরার পুরস্কার গিয়েছিল বিরাট কোহলির হাতে।
- ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া এশিয়া কাপের সে আসরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি হয়েছিল একদম একপেশে। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ভারতীয় পেসারদের দৌরাত্মে সে ম্যাচে মাত্র ১৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ২৯ ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। ম্যাচসেরা হন ভুবনেশ্বর কুমার।
- ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম
গ্রুপ পর্বের মতো সুপার ফোরের এ ম্যাচেও কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি পাকিস্তান। ২৩৮ রানের টার্গেটে রোহিত আর শিখর ধাওয়ানের সেঞ্চুরিতে ৬৩ বল আগেই লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ভারত সে ম্যাচটি জিতেছিল ৯ উইকেটে। আর ১১৪ রান করে ম্যাচসেরা হন শিখর ধাওয়ান