চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। গ্রুপ ‘এ’ তে থাকা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার এখন অব্দি অবস্থান তিন নম্বরে। শ্রীলঙ্কার মতো একটা দলের জন্য এই সমীকরণ বেশ অনাকর্ষণীয় বটে। দলটির এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রাটা একেবারেই সুখকর ছিল না। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হার মানতে হয়েছে নামিবিয়ার মতো দলের কাছে। সেটাও ৫৫ রানের পরাজয়।
তাই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল রাউন্ডে যাওয়ার জন্য তাঁদের সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জেতার বিকল্প ছিল না লঙ্কানদের কাছে। অবশেষে গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭৯ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় তাঁরা। আসন্ন ম্যাচে নেদারল্যন্ডসের সাথে মোকাবেলায় জিততে পারলে, তবেই বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেতে সমর্থ হবে দলটি।
কিন্তু এই জয়ের পাশাপাশি নতুন সঙ্কটে পড়তে হয়েছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলটিকে। কারণ এবার ইনজুরির থাবা পড়েছে লঙ্কান শিবিরে। শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার দিলশান মাদুশঙ্কাকে হারিয়েছে, যিনি কোয়াড্রিসেপ পেশি ছিঁড়ে টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ পড়েছিলেন। তাঁর জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছিল বিনুরা ফার্নান্দোকে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তিনটি উইকেট নিয়ে দলের জয়ে দারুণ অবদান রাখেন দুশমন্ত চামিরা।
কিন্তু চতুর্থ ওভার বোলিং করার সময় এই পেসার চোট পান এবং মাঠের বাইরে চলে যান। দুর্ভাগ্যজনক খবর হল চোটের তালিকায় নাম লেখালেন তিনিও। কাফ ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে এবার ছিটকে গেলেন এই পেসার।
শ্রীলঙ্কান শিবিরে এটি বেশ বড়সড়ও এক ধাক্কা। একই ইনজুরির কারণে চামিরা এশিয়া কাপও মিস করেছেন। পরে ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথে চোটেরও প্রত্যাবর্তন ঘটলো। তাছাড়া দলটিতে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে আক্রান্ত আছেন ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকা এবং পেসার প্রমোদ মাদুশান। সব মিলিয়ে দলটির ভাগ্যরেখায় শঙ্কার কালো রেখা দেখা যাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেন, ‘আমি আশা করছি গুনাথিলাকা শীঘ্রই সেরে উঠবেন। পাশাপাশি মাদুশান এর স্ক্যানের ফলাফলের অপেক্ষায় আছি আমি।’ পাশাপশি শানাকা জানিয়েছেন যে ইনজুরি কভার করার জন্য একাধিক খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কায় স্ট্যান্ডবাইতে আছেন, যারা ডাক পেলেই দলে যোগ দিবেন।
গ্রুপ ‘এ’ এর শীর্ষস্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। এখন অব্দি তাঁরা অপরাজিত আছে। সেরা বারোতে যেতে হলে তিন নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কাকে অবশ্যই ডাচদের হারাতে হবে। যদিও শীর্ষে থাকা ডাচরা রান রেটে শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়ার চেয়ে পিছিয়ে।
সেই হিসেবে সমীকরণটি আরেকটু জটিল হবে। তবে আপাতত নিজেদের সুপার টুয়েলভ এ যাওয়া নিশ্চিত করতে হলে শ্রীলঙ্কাকে অবশ্যই জিততে হবে আসন্ন ম্যাচটি। তবে ইনজুরি-গ্রস্ত দলটির জন্য সেই কাজটি খুব একটা যে সহজ হবে না, তা সহজেই অনুমেয়।