আর্শদ্বীপ সিং, বছর খানেক আগেও যিনি বিশ্ব ক্রিকেটের অচেনা এক নাম ছিলেন। তবে বছর ঘুরতেই তিনি নিজের বোলিং দিয়ে সোনালী আলোয় আলোকিত হয়েছেন। জাসপ্রিত বুমরাহর মত পেস বোলারের অভাব ভুলিয়ে বিশ্বকাপে ভারতকে এনে দিচ্ছেন একের পর এক সাফল্যের মুকুট।
গত বছরের শুরুর দিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ইংল্যান্ড সফরে ডাক পান। সাউদাম্পটনে সুযোগ পেয়েই ৩.৩ ওভারে এক মেইডেনসহ ১৮ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নেন।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনের বিপক্ষে এমন দুর্দান্ত শুরুর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই বাঁ-হাতি পেসারকে। নিয়মিত বোলার বুমরাহর ইনজুরিতে সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেওয়া আর্শদ্বীপ সিং।
তবে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মূল কৃতিত্ব দিয়েছেন তারই নতুন বলের সঙ্গী ভুবনেশ্বর কুমারকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর আর্শদ্বীপ সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ব্যাটারদের দুর্বল দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করে থাকি। ভুবি ভাই চেষ্টা করেন সুইং দিয়ে তাদের পরাস্ত করার জন্য। তিনি ব্যাটারদের চাপে রাখতে পারেন বিধায় আমি আক্রমণ করে উইকেট তুলে নিতে পারি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ব্যাটিং পার্টনারশিপের মতোই বোলিং পার্টনারশিপও জরুরি। এতে করে দুই জন মিলে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারে। শুরুর দিকে উইকেট তুলে নেওয়া সব সময়ই আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। এতে দল আরও বেশি করে আপনার সামর্থ্যের উপর ভরসা করে।’
পার্থের গতিময় বাউন্সি উইকেটে বোলিং উপভোগ করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘বল করার জন্য এটা অসাধারণ একটা মাঠ। যে কোনো পেস বোলারের জন্য স্বপ্নের পিচ এটি। দুর্ভাগ্য যে,খুব কম সময়েই আমি এমন মাঠে বোলিং করে থাকি।’
কোন লেংথে বল করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘লেংথ প্রতিটা বোলারের জন্যই ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেদিন বল সুইং করবে আপনি চাইবেন ফুল লেংথে বল করার জন্য। অথবা পিচের সাহায্য না পেলে সাধারণ হার্ড লেংথে বল করবেন। এটা উইকেট অনুযায়ী পার্থক্য হয়।’
আর্শদ্বীপ সিং গত জুলাইয়ে অভিষেকের পর থেকে ১৬ ম্যাচে ১৮.০৮ গড় ও ৮.০৮ ইকোনমিতে ২৬ উইকেট শিকার করেছেন। সমর্থকদের চাওয়া আর্শদ্বীপ সিংয়ের দুর্দান্ত ফর্ম চলতে থাকুক শেষ অবধি, ভারতও তাদের ১৫ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা নিয়েই দেশে ফিরুক বীরের বেশে।