প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে জিততে থাকা ম্যাচটি হাতছাড়া করার পর জিম্বাবুয়ের মতো দলের কাছে অপ্রত্যাশিত হার। দুই হারে টালমাটাল পাকিস্তান তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশেষে পেয়েছে জয়ের দেখা। অবশ্য সেই জয়ও খুব আহামারি বদল এনে দেবে না পাকিস্তান দলটির ভাগ্যে।
সোজা বাংলায় বলা যায় দলটির সুপার টুয়েলভ থেকে সেমিফাইনাল অবধি যাওয়ার স্বপ্নটা প্রায় নিভু নিভু। মানে সুপার টুয়েলভের সম্ভাবনা যেকোনো মুহুর্তে দপ করে নিভে গেল বলে। তাও অতি উচ্চাকাংখার বশবর্তী হয়ে যদি কেউ এখনো বলে যে, কিছু জটিল সমীকরণ মেলাতে পারলে এখনো সম্ভাবনা আছে। তবে বাস্তবতা বলে যে তাও অসম্ভব ব্যাপার।
বিশ্বকাপে দলের এমন ভরাডুবির দায় এড়াতে পারবেনা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেটাররা। ঠিক তেমনি এই দোষে দুষ্ট টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সর্বোপরি পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজার ঘড়েও এই দায়টা বর্তায়।
সমর্থক ও সাবেক ক্রিকেটারদের সমালোচনার তীর অধিনায়ক বাবর আজম থেকে শুরু করে পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা অবধি। বাবর আজম অযোগ্য অধিনায়ক এমন রায় দিয়ে দিয়েছেন অনেক সমর্থকই। এবার পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির একহাত দেখে নিলেন পিসিবি চেয়ারম্যানকে।
মোহাম্মদ আমির টুইটারে লিখেন, ‘প্রথম দিন থেকেই, আমি বলেছিলাম এটি একটি দুর্বল নির্বাচন। এর দায় কে নেবে? আমি মনে করি এখন সময় এসেছে তথাকথিত পিসিবি চেয়ারম্যান, যিনি নিজেকে ভগবান মনে করেন তাঁকে সরিয়ে দেয়ার। এবং সেইসাথে তথাকথিত প্রধান নির্বাচককেও দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেয়ার সময় এসেছে।’
অর্থাৎ মোহাম্মদ আমির এর মতে ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজার পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজার কোনও সাফাই সমর্থকরা মানাবে না বলেও জানিয়েছেন আমির।
কারণ বিশ্বকাপ শুরুর আগ থেকেই পাকিস্তান দলটি কেবল বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানে ভর দিয়ে চলছে। এই দুইজন ছাড়া দলের ব্যাটিং লাইন আপ শক্তিশালী করার ব্যাপারে তেমন মনোযোগই দেয়ানি ক্রিকেট বোর্ড। মিডল অর্ডার ক্রাইসিসের পরেও ওই একই মিডল অর্ডারদেরই দলে জায়গা দেয়া হচ্ছে বারবার।
এদিকে আবার দলের প্রধান পেসার শাহীন শাহ্ আফ্রিদি ফিরে এলেও, তাঁকে পুরোপুরি ফিট হওয়ার আগেই দলে টেনে আনার বিষয়টিও ভাবাচ্ছে সমর্থকদের। সবমিলিয়ে পাকিস্তান দলটিকে ঘিরে ভক্ত সমর্থক এবং সাবেক ক্রিকেটারদের অনেক প্রশ্ন। কিন্তু বারবার প্রশ্ন উঠলেও টিম ম্যানেজমেন্ট এবং পিসিবি চেয়ারম্যান সেদিকে কর্ণপাত করার প্রয়োজনই বোধ করেনি। যার ফলাফল, এই আসরে ফেবারিট ভাবা দলটির এমন বিচ্ছিরি ভরাডুবি।