অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ইমরান খান। তাঁর মিছিলে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই গুলি ছোড়া হয়েছিল। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। গুলি লাগে তাঁর ডান পায়ে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে এই ঘটনা ঘটে।
ইমরান খান পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয় করে। সেবারই প্রথমবারের মত কোনো আইসিসি ইভেন্টে জেতে পাকিস্তান। যদিও, সেটাই ইমরান খানের একমাত্র পরিচয় নয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার পরবর্তীতে নেতৃত্বের ময়দানে পা রাখেন। কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরনওয়ালার আলওয়ালা চকে একটি এসইউভি গাড়িতে করে সওয়ার ইমরান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে লং মার্চে যোগদানের আবেদন জানাচ্ছিলেন।
সে সময় এক ব্যক্তি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এসময় কয়েক জন নেতা কর্মীও গুলি বিদ্ধ হয়েছেন। আহত ইমরানকে চিকিৎসার জন্য লাহোরে আনা হচ্ছে। ঘটনার পেছনে কাদের হাত আছে – সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে পাকিস্তানের পুলিশ বলছে, এর পেছনে কোনো জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে।
রাজনৈতিক নেতাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা পাকিস্তানে কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও দেশটির একাধিক নেতা-নেত্রী জনসভায় হামলার শিকার হয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান জনসভায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ১৫ বছর বয়সী এক আত্নঘাতী বোমারুর হামলায় নিহত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।