ফেক ফিল্ডিং: শাস্তি পাবেন সোহান!

আফসোসটা ছিল বাংলাদেশ দলের মাঝে। সেটা সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। আম্পায়ারিং নিয়ে সরাসরি অভিযোগ তোলার এখতিয়ার ক্রিকেটারদের দেয় না খেলাটির সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

মাঠের ঘটনা মাঠেই শেষ হয়নি। বরং মাঠের বাইরে সেটা নতুন করে সেটা বিতর্ক বাড়িয়েছে। মাঠে আম্পায়ারের কাছে ফেক ফিল্ডিংয়ের আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত। আম্পায়ার ম্যারিয়াস ইরাসমাস কিংবা ক্রিস ব্রাউন – কেউই সেই অভিযোগ আমলে নেননি। টেলিভিশন রিপ্লে দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি। সেটা হলে হয়তো বিরাট কোহলির করা ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য পেনাল্টি থেকে পাঁচ রান পেত বাংলাদেশ।

সেই আফসোসটা ছিল বাংলাদেশ দলের মাঝে। সেটা সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। আম্পায়ারিং নিয়ে সরাসরি অভিযোগ তোলার এখতিয়ার ক্রিকেটারদের দেয় না খেলাটির সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যার কারণে এবার শাস্তির মুখে পড়তে হবে সোহানকে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) তেমনটাই দাবি করেছে।

ভেজা মাঠের প্রসঙ্গে সোহানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘মাঠ যে ভেজা, আপনারাও দেখছেন বাইরে থেকে, আমরাও দেখছি। ইভেনচুয়ালি আমার কাছে মনে হয় যে, যখন আমরা কথা বলি… একটা ফেক থ্রোও ছিল। যেটায় ৫ রান পেনাল্টি হয়তো হতে পারত। যেটা আমাদের দিকে আসতে পারত।দুর্ভাগ্যবশত সেটাও আসেনি।’

ঘটনার সূত্রপাত বৃষ্টি নামার ঠিক আগের ওভারে। ভারতীয় বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের করা ওই ওভারে দুটি ডাবলস হয়েছে। এর কোনো একটিতেই ফেক ফিল্ডিং করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ দল।

ব্যাটার শান্ত তখনই আম্পায়ারকে জানান। কিন্তু আম্পায়াররা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের চোখে পড়েনি এমন কিছু। সাত ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৬৬ রান। তখনই নামে বৃষ্টি।

বৃষ্টি বিরতির সময় দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামও এটা নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখনও আম্পায়াররা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। ফেক ফিল্ডিংয়ে অভিযোগ সত্যিই হয়ে থাকলে, সেখানে বাংলাদেশ দল পেনাল্টি পেত। যোগ হত পাঁচ রান। পাশাপাশি বলটি ডেড হত। দল হেরেছে ওই ৫ রানেই।

এবার প্রশ্ন হল ফেক ফিল্ডিং কি? ফেক ফিল্ডিংয়ের ধারণা ক্রিকেটে খুব পুরনো কিছু নয়। ২০১৭ সালে আইসিসি নিয়ম চালু করে। তাঁদের আইন বলছে, মাঠের কোনো ফিল্ডার তার কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের মনোযোগ অন্যদিকে নিলে, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে কিংবা বাঁধার সৃষ্টি করলে, তা বেআইনী হবে। এবং এক্ষেত্রে দলের স্কোরের সাথে পাঁচ রান যোগ হবে, মানে পাঁচ রান পেনাল্টি পাবে।

সেটা পায়নি বাংলাদেশ, বরং এবার বিষয়টা যার সুবাদে প্রকাশ্যে হল সেই সোহানই পড়বেন শাস্তির মুখে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...