সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে বাঁধা নেই বাংলাদেশের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারের মত বাংলাদেশের যাত্রাটা শেষ হল। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের মধ্য দিয়েই শেষ হল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের কেমন কাটলো সেটা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতলে বাংলাদেশ খেলতে পারতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। তবে পাকিস্তানের সাথে ম্যাচ হারায় বাংলাদেশ থামলো গ্রুপের পঞ্চম দল হিসেবে। নেদারল্যান্ডের সমান চার পয়েন্ট থাকলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে নতুন একটা দুশ্চিন্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব। কেননা দুই গ্রুপের প্রথম চারে থাকা দলগুলো আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে এমন একটা তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

অর্থাৎ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ১২ রাউন্ডের দুই গ্রুপের শীর্ষ ৮ দল নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ভারত পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকার সাথে আইসিসির সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডও সরাসরি খেলবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

তাহলে কী বাংলাদেশকে বাছাইপর্ব খেলে আসতে হবে?  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) গতবছরই এই ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিয়েছিল। আসলে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে মোট ২০ টি দেশ। এরমধ্যে স্বাগতিক দেশ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা সরাসরি খেলবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাদের সাথে থাকছে এবারের শীর্ষ আট দল। আর এই দশ দলের সাথে আরও দুটি দল সরাসরি খেলবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

সেই দুটি দল হচ্ছে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আইসিসি র‍্যাংকিং এর নবম ও দশম স্থানে থাকা দেশগুলো। আর এখন পর্যন্ত এই দুটি দেশ হল আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। ফলে এই দুটি দলও সরাসরি খেলবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফলে বাংলাদেশকে যে বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছেনা সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

ওদিকে এই বারো দল ছাড়াও আগামী বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে আরও ৮ দল। এই আটটি দল আসবে মহাদেশীয় বাছাইপর্ব থেকে। যেমন আফ্রিকা থেকে ২ টি, আমেরিকা থেকে ১ টি, এশিয়া থেকে ২ টি, এশিয়া প্যাসিফিক থেকে ১ টি ও ইউরোপ থেকে খেলবে ২টি দেশ। অর্থাৎ পরের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড নামক যে বাছাইপর্ব হয় সেটাই থাকছে না। সরাসরি ২০ দলকে নিয়ে শুরু হবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

আর এই বিশ দলকে ভাগ করা হবে চারটি গ্রুপে। প্রতি গ্রুপে খেলবে পাঁচটি করে দল। সেখান থেকে সেরা আট দল নিয়ে হবে পরবর্তী রাউন্ড সুপার এইট। তারপর যথারীতি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। ক্রিকেটকে বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই আসলে আইসিসির এমন উদ্যোগ।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link